আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত সাতজন নিহত ও ১৫০ জন আহত হয়েছেন। রবিবার (২ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশটির স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু ও দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন ও উদ্ধারকর্মীরা দুর্গত এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র এখনও পাওয়া যায়নি।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলের মাজার–ই–শরিফ শহরের কাছে খোলমে, ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৮ কিলোমিটার গভীরে।
অন্যদিকে, জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড) ভূমিকম্পটির মাত্রা ৬ দশমিক ৪ বলে জানিয়েছে। রাজধানী কাবুল থেকেও এই কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি।
প্রাথমিকভাবে কিছু এলাকায় ভবন ও অবকাঠামোর আংশিক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে, তবে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় বিস্তারিত তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।
গত কয়েক মাসে একের পর এক ভূমিকম্পে কেঁপে উঠছে আফগানিস্তান। সর্বশেষ ২৪ অক্টোবর ভোরে ৩ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে দেশটিতে, যদিও তাতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে ১৭ অক্টোবর ৫ দশমিক ৬ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তান ও আশপাশের অঞ্চল। ওই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে এবং তা জম্মু–কাশ্মীর পর্যন্ত অনুভূত হয়েছিল।
সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পটি আঘাত হানে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট, যার মাত্রা ছিল ৬.০। তাতে দু’হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু ও তিন হাজারের বেশি আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
ভূমিকম্পপ্রবণ এই হিন্দুকুশ অঞ্চলটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় প্রায়ই বড় ধরনের কম্পন অনুভূত হয়।
সূত্র: এএফপি