সরকারি চাকরিতে যৌক্তিক কোটার সংস্কার চেয়ে আগামীকাল শুক্রবার (১২ জুলাই) দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে আন্দোলকারীরা।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত ৯টার দিকে শাহবাগ মোড়ে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী নাহিদ ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন।
নাহিদ হাসান বলেন, আমরা সব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাব, নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব আপনাদের। আপনারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। আমাদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনুন। আমাদের ওপর যে হামলা হয়েছে তার প্রতিবাদে আগামীকাল আমরা সারা দেশের সব ক্যাম্পাসে বিকেল ৪টায় বিক্ষোভ মিছিল করব।
এ সময় আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, হাইকোর্টের আংশিক রায়ে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়েছে। হাইকোর্টের আংশিক রায়ে বলা হয়েছে, সরকার চাইলে কোটার সংস্কার করতে পারে। এ বিষয়টিই আজ স্পষ্ট হয়েছে। যদি তাই হয়, তাহলে শেকৃবিতে কেন লাঠিচার্জ করা হলো? শাবিপ্রবিতে হামলা করা হয়েছে, চবিতে নারী শিক্ষার্থীদের ওপর নারী পুলিশ হামলা করেছে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা হয়েছে, রাবিতে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। মাভাবিপ্রবিসহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা করা হয়েছে। যারা হামলা করেছে তারা অতি উৎসাহী। সেই পুলিশদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
এর আগে বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ অবরোধ করেন। সেখানে মেট্রোরেলের নিচে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়মুখী পথে পুলিশ ব্যারিকেড দিলে শিক্ষার্থীরা ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন। তবে সামনে না গিয়ে শিক্ষার্থীরা শাহবাগে ফিরে আসেন।
শিক্ষার্থীরা এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন। তা হলো– সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটা ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা সংস্কার করা। সেক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তান, প্রতিবন্ধী এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কোটার প্রস্তাব করেছেন।