আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে শুনানিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রতিনিধি বেশ কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশের পক্ষে যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ আল–জাজিরা অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।
সুপারিশমালার মধ্যে রয়েছে,- বৈষম্যমূলক আইন ও পদক্ষেপে স্বাক্ষরসহ ফিলিস্তিনি জনগণের স্বনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রয়োগে বাধা সৃষ্টিকারী সব কাজ ইসরায়েলকে বন্ধ করতে হবে। ইসরায়েল অবশ্যই গাজা থেকে তাদের সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করতে হবে এবং দখলের অবৈধ কাঠামো ভেঙে দিতে হবে।
দ্বিতীয় দফার সুপারিশে রয়েছে–ইসরায়েলকে অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং এই ধ্বংসযজ্ঞের পুনরাবৃত্তি না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
তৃতীয়ত, সব রাষ্ট্রকে অবশ্যই আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের জন্য যেকোনো আইনি বাধার অবসান নিশ্চিত করতে হবে এবং বলপ্রয়োগ করে ভূখণ্ড অধিগ্রহণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।
চতুর্থত, বিভিন্ন দেশকে পূর্ব জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের অন্যায় কাজের ফলে সৃষ্ট বেআইনি পরিস্থিতিকে স্বীকৃতি দেয়া উচিত নয় এবং এ ব্যাপারে সাহায্য বা সহায়তা প্রদান করা উচিত নয়। আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ইসরায়েলের আনুগত্য নিশ্চিত করতে সহযোগিতা অপরিহার্য।
দখলদারত্বের অবসান ঘটাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আরো পদক্ষেপ বিবেচনা করা উচিত। বর্ণবৈষম্য প্রথার অবসান ঘটানোর জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকার এমন অভিযোগের ওপর জানুয়ারিতে প্রথম দফায় শুনানি হয় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে।
আল / দীপ্ত সংবাদ