বর্ষা মৌসুম আসার আগেই আতঙ্কিত পিরোজপুরের নদী পারের মানুষ। টেকসই বেরিবাধ না থাকায় প্রতিবছরই বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে ক্ষতি হয় ফসল, মাছসহ মানুষের জীবন মাল। তাই বর্ষার আগেই ক্ষতিগ্রস্ত বেরীবাধ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।
ছোট বড় প্রায় ডজন খানেক নদী নিয়ে পিরোজপুর জেলা গঠিত। আর এ নদীকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে লোকালয় হাট বাজার ও শিল্পকারখানা। ফলে এ জেলার অর্থনীতিতে যেমন নদীর রয়েছে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা, ঠিক তেমনি মৌসুমে এর বিরুপ প্রভাবও পড়ে অর্থনীতিসহ সার্বিক জীবনে।
বর্ষা মৌসুমে এসব নদী তীরবর্তী এলাকার পানি নামতে শুরু করে তখন নদীর স্রোত আরো বেড়ে যায়। ফলে ভাঙ্গতে শুরু করে নদীর পাড়, বেরীবাঁধ আর আক্রান্ত হয় হাট বাজার লোকালয় এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাড়ি ঘরও। অন্যদিকে ভান্ডারিয়া, মঠবাড়িয়া, ইন্দুরকানী ও পিরোজপুর সদর উপজেলার প্রায় ১৪৪ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় , এবং প্রয়োজনীয় স্থানে বেরীবাধ না থাকায় বর্ষা মৌসুম আসার আগেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন পিরোজপুরের নদী পাড়ের মানুষেরা।
এদিকে কচা, সন্ধ্যা ও বলেশ্বর নদী পাড়ের কয়েক হাজার পরিবারের দু:শ্চিন্তার কারন এসব এলাকার ভাঙ্গা ও দুর্বল বেরীবাঁধ। তাছাড়া বর্ষা মৌসুমে এসব এলাকার ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে সে সব এলাকার ফসল ও মাছের ঘের তলিয়ে গিয়ে মানুষ পড়েন আর্থিক ক্ষতিতে। আর জীবন যাত্রা হয়ে পড়ে দূর্বিসহ। ফলে এ থেকে রক্ষা পেতে টেকসই বেরীবাঁধ নির্মানের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, মানুষের জীবন মাল রক্ষায় বেশ কিছু নতুন বেরীবাধ নির্মান করা হয়েছে। আর বরাদ্ধ পেলে ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ গুলোও মেরামত করা হবে।
পিরোজপুর জেলায় প্রায় ৩৪৯ কিলোমিটার বেরীবাধ রয়েছে। যার মধ্যে ১৪৪ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ।
যূথী/দীপ্ত সংবাদ