বাজারে অস্থিরতা দূর করতে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে সরাসরি ডিম বিক্রি শুরু করেছে দেশের ১৩ বড় উৎপাদক প্রতিষ্ঠান।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাতে রাজধানীতে ২০ লাখ ডিম সরবরাহ করে প্রতিষ্ঠানগুলো। এর মধ্যে কাজী ফার্মস একাই দিয়েছে ৬ লাখ। এতে প্রতিটি ডিম পাইকারি ১১ টাকা ১ পয়সা এবং খুচরা ১২ টাকায় মিলবে।
দাম ও সরবরাহ নিয়ে সম্প্রতি এক ধরনের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরামর্শে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতিদিন সরাসরি ২০ লাখ ডিম সরবরাহের উদ্যোগ নেয় দেশের ১৩ উৎপাদক প্রতিষ্ঠান।
এ কার্যক্রমে ডিম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে কাজী ফার্মস, ডায়মন্ড এগস লি., প্যারাগন পোল্ট্রি, পিপলস পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, নারিশ পোল্ট্রি, ভিআইপি শাহাদত পোল্ট্রি, নর্থ এগ লি., নাবিল এগ্রো, আর.আর.পি, রানা পোল্ট্রি, চাঁদ এগ্রো, কৃষিবিদ পোল্ট্রি, চিত্রা এগ্রো, আমান পোল্ট্রি, মেগা পোল্ট্রি।
রাতে রাজধানীর কাপ্তান বাজারে ডিম সরবারহে উপস্থিত ছিলেন– কাজী ফার্মসের পরিচালক কাজী জাহিন হাসান ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ অন্য কর্মকর্তারা।
ব্রিডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, এই উদ্যোগের ফলে মধ্যস্বত্বভোগী থাকবে না। এতে ডিমের দাম কমে আসবে।
বাজারে সিন্ডিকেটের অভিযোগের বিষয়টি স্পষ্ট করেন কাজী ফার্মসের পরিচালক। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিযোগিতা কমিশন তার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছিল। কিন্তু উচ্চ আদালত এটি স্থগিত করে দিয়েছে। তার মানে এই অভিযোগ প্রমাণিত নয়।
কাজী ফার্মস পরিচালক কাজী জাহিন হাসান বলেন, ডিমের কোন সিন্ডিকেট নেই। বন্যার কারণে ডিমের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাজারে সংকট তৈরি হওয়ায় প্রতিদিন ছয় লাখ ডিম দিচ্ছে কাজী ফার্মস।
কোন পরিস্থিতিতে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে সরাসরি ডিম সরবহাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা ব্যাখ্যা করলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মহাপরিচালক মো. আলীম আখতার খান বলেন, মধ্যসত্ত্ব ভোগীদের দূর করা গেলে ভোক্তারা যৌক্তিদামে ডিম কিনে খেতে পারবে।
আগামী ১৫ দিন উৎপাদকদের কাছ থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা সরাসরি ডিম পাবে।