ওয়ানডে সিরিজে আয়ারল্যান্ডকে হারানোর পর ফের তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুর ২টায় সিরিজের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড।
প্রতিপক্ষ সেই আয়ারল্যান্ড হলেও খেলার ফরম্যাটটা এবার ভিন্ন। হাথুরুসিংহের ‘নতুন’ বাংলাদেশ, নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে সমর্থকদের, যার ফলাফল হাড়েহাড়েই টের পেয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড দল।
আয়ারল্যান্ডের প্রধান কোচ হেনরিখ মালান বলেন, ‘আমরা নিজেদের শক্তিমত্তা অনুযায়ী খেলতে চাই। ছোট ফরম্যাটে ভালো করার সম্ভাবনা থাকে বেশি। অতীতে আমরা ভালো করার সামর্থ্য দেখিয়েছি। যদিও খেলাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। কারণ, ওরা সম্প্রতি বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়েছে। আমরা চেষ্টা করব ভালো ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলতে।’
এদিকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২–০ ব্যবধানে জেতা ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে রানের ব্যবধানে (১৮৪) সবচেয়ে বড় জয়ের পর শেষ ম্যাচে উইকেট বিবেচনায় সবচেয়ে বড় (১০ উইকেটে) জয়ের স্বাদ পায় টাইগাররা, মাঝে বৃষ্টিতে ভণ্ডুল হয়ে যাওয়া দ্বিতীয় ম্যাচেও নিজেদের ইতিহাস সর্বোচ্চ ৩৪৯ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ফলে বলাই যায় ফর্মের তুঙ্গেই আছে টাইগাররা।
এদিকে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে নেতৃত্বে বদল এনেছে আয়ারল্যান্ড। নিয়মিত অধিনায়ক বালবির্নিকে বিশ্রাম দিয়েছে তারা। ফলে তার বদলে সফরকারীদের পক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজে টস করবেন পল স্টার্লিং।
অবশ্য সময়ই বলে দেবে, কার ভাগ্যে কী আছে, কারা হাসবে শেষ হাসি। তবে পরিসংখ্যান কথা বলছে বাংলাদেশের পক্ষেই, টি–টোয়েন্টিতে উভয় দলের পাঁচবারের দেখাতে তিনটিতেই জয় বাংলাদেশের, একটাতে জয় পায় আইরিশরা। অপর ম্যাচটা পরিত্যক্ত হয়৷
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টির আগে বেশ সতর্ক হেড কোচ। দলে কিছু নতুন মুখ থাকলেও, প্রথম ম্যাচে তাদের খেলানোর সম্ভাবনা ক্ষীণ।
অনু/দীপ্ত সংবাদ