মহান বিজয় দিবস আজ (১৬ ডিসেম্বর)। মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের ৫২ বছর পূর্তির মাহেন্দ্রক্ষণ। আজ বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশের দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন ভূখণ্ড রয়েছে তার জানান দেওয়ার দিন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের আজকের দিনটিতে জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয় এসেছিল। দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে এই এদিনটিতেই স্বাধীনতার রক্তিম সূর্যালোকে উদ্ভাসিত হয়েছিল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে পরমতসহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও বেশি অবদান রাখার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশকে “স্বল্পোন্নত” দেশে উন্নীত করেন, আর আমরা মাতৃভূমিকে “উন্নয়নশীল” দেশের কাতারে নিয়ে গেছি। স্বাধীনতার পর বিগত ৫২ বছরে আমাদের যা কিছু অর্জন, তা জাতির পিতা এবং আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হয়েছে।’
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীসহ সারা দেশেই বিভিন্ন রাজনৈতিক, পেশাজীবী, শ্রমজীবী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করবে।
এসএ/দীপ্ত নিউজ