আজ বিশ্ব বাঘ দিবস। ‘বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি, সুন্দরবনের সমৃদ্ধি’ এই প্রতিপাদ্যে দেশে পালিত হচ্ছে দিনটি। সবশেষ বাঘ শুমারি অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১২৫টি। আবাসস্থল নিরাপদ রাখা গেলে পরবর্তী শুমারিতে বাঘের সংখ্যা দেড়শো ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা বন বিভাগের।
জলবায়ু পরিবর্তনে আবাসস্থল সংকুচিত হওয়া, শিকারিদের দৌরাত্ম্য, খাদ্যসংকট ও টেকসই পদক্ষেপের অভাবে সুন্দরবনে অস্তিত্বসংকটে রয়েল বেঙ্গল টাইগার। গত দুই দশকে সুন্দরবনে বাঘের টিকে থাকার লড়াইটা কঠিন হয়ে পড়েছে।
২০১৫ সালে প্রথম শুমারিতে বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬টি, ২০১৮ সালে হয় ১১৪টি। আর ২০২৫ সালে বাঘের সংখ্যা দাঁড়ায় ১২৫টিতে। তবে সুন্দরবনে বনদস্যু ও শিকারিদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঘ বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বাগেরহাটে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, বাঘের আবাসস্থল নিরাপদ রাখতে ড্রোন ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র–গোলাবারুদ, হরিণ ও বাঘ ধরার ফাঁদ উদ্ধার এবং ডাকাত দলের সদস্যদের আইনের আওতায় আনার কথা জানিয়েছে কোস্টগার্ড।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সুন্দরবনের পাশাপাশি উপকূলের প্রাণ ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় বাঘ রক্ষার বিকল্প নেই।