দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে রোল মডেল বিবেচিত হলেও ভূমিকম্পসহ অন্যান্য দুর্যোগে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আজ ১০ মার্চ (শুক্রবার) জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস। দেশে প্রতিবছর এ দিনে দিবসটি পালন করে আসছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশের প্রত্যয়, দুর্যোগ প্রস্তুতি সবসময়’।
দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, ‘সঠিক সময়ে যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করা গেলে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।’
পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকারের দুর্যোগ নিয়ে পূর্বপ্রস্তুতি ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে দুর্যোগে প্রাণহানি এক ডিজিটে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় চিরাচরিত ‘দুর্যোগ পরবর্তী সাড়াদান ব্যবস্থাপনা’ থেকে ‘আগাম ব্যবস্থাপনা’ কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমেছে।’
২০১৬ সালে প্রতি বছর ১০ মার্চ জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। আগে প্রতি বছর মার্চ মাসের শেষ বৃহস্পতিবার জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত হতো। এটি করতে গিয়ে দেখা গেছে শেষের বৃহস্পতিবারটি ২৬ মার্চ হয়ে যাচ্ছে। বেশিরভাগ সময়ই তাই হচ্ছে। সে জন্য দিনটি সংশোধন করে ১০ মার্চ করা হয়।
আল/দীপ্ত