কথায় আছে,’সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে‘। এই কথাটি চিরন্তন সত্য। আদর্শ পরিবার গড়তে গুণী রমণীর প্রোয়োজন। বিশ্বে প্রতিদিন কত রকমের দিবস পালন করা হয় তার খবর কয়জনে রাখে। এরমধ্যে নানান ধরণের বিচিত্র কিছু দিবসও পালন করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে স্ত্রীর প্রশংসা করার দিন। মানে আপনার স্ত্রীর প্রশংসা করবেন আপনি।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সারাদিন তাই স্ত্রীর প্রশংসায় ব্যস্ত থাকুন। স্ত্রী আপনার যেমন হোক তার সুন্দর দিকগুলোর প্রশংসা করুন। কেননা এই দিন তার জন্য বরাদ্দ রাখুন। একটি সুন্দর ,সুষ্ঠু,আদর্শ পরিবার গড়তে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেন একজন স্ত্রী। ঘর–সংসার সামলে নিজের সৌন্দর্যের আবর্তনের মায়ায় বাঁধে স্বামীকে। স্বামীরাও স্ত্রীর মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
তাই জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন– তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়, সেকি মোর অপরাধ? তাই আজ স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকুন তার প্রশংসা করুন, কারণ আজ সেপ্টেম্বরের তৃতীয় রবিবার, আজ স্ত্রীকে প্রশংসা করার দিন।
একটা সময় ছিল, যখন পুরুষরা নারীদের কাজের মূল্যায়ন করতেন না। কিন্তু বর্তমান সময়ে দৃশ্য ভিন্ন। অনেক পুরুষই এখন যখনই সময় পাচ্ছেন সংসারে সমানতালে তাল মিলিয়ে নারীদের সঙ্গ দিচ্ছেন। পরিবারের সবার ভরনপোষণ, চাহিদা পূরণে উপার্জনও করছেন। আবার বাড়িতে এসে নারীদের কাজের সঙ্গীও হচ্ছেন। যা এখন সত্যিই দৃশ্যমান।
দিনটিকে তাই স্বামীদের জন্য উতসর্গ করুন। পছন্দের খাবার, পছন্দের উপহার, পছন্দমতো ঘর গুছিয়ে দিনটিকে সাজিয়ে তুলুন। কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ না থাকলে, তাই ঘরেই আজ স্পেশাল আয়োজন রাখুন।
সংসারে দু’জনের অংশগ্রহণ যেমন জরুরি তেমনি দু’জনের অ্যাপ্রিসিয়েশন বা প্রশংসা, সমাদরও জরুরি। ভালোলাগার প্রকাশ সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
মারাত্মক দুঃসময়ে প্রথমে যে মানুষটি পাশে দাঁড়ায়, যে মানুষটির আলতো চুমু হতাশা নিরাময়ের মহৌষধ, চরম সিদ্ধান্তহীনতায় যে ব্যক্তি একটি লক্ষ্যে স্থির রাখতে সাহায্য করে, তিনিই স্ত্রী। স্ত্রীরা স্বামীদের কঠোর পরিশ্রমের অনুপ্রেরণা। শুধু তাই নয়, সারাদিন পরিশ্রম শেষে রাতে বাসায় ফেরার পর এক পশলা স্বস্তির নিশ্বাস বয়ে আনে ওই স্ত্রীই। তাই স্ত্রীই একমাত্র নিঃস্বার্থ ভালোবাসা কিংবা প্রশংসার দাবিদার।
বিশেষ এই দিনটিতে স্ত্রীর হাতে তুলে দিতে পারেন একগুচ্ছ ফুল। ঘুরতে যেতে পারেন কোথাও। চাইলে ছোট–বড় উপহারও দিতে পারেন। পারেন তাকে রান্না করে খাওয়াতেও।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ