গাজীপুরের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, শ্রমিক নেতা ও সংসদ সদস্য শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ। রবিবার (৭ মে) নানা আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে স্মরণ করা হচ্ছে।
রবিবার সকালে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের নিজ গ্রাম হায়দরাবাদে সমাধিস্থলে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। পরে সমাধিপ্রাঙ্গনে শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় প্রার্থনা করা হয়। এছাড়া দিনব্যাপী হাফেজ ছাত্রদের দিয়ে কুরআনখানির আয়োজন করা হয়। আয়োজন করা হয় মাসব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মীর্জা আজম, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা সহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
স্মরণ সভা শেষে শহীদ আহসান মাস্টারের ছেলে ও যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল তাঁর পিতার হত্যাকারীদের বিচারের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান।
গাজীপুরের হায়দরাবাদ গ্রামে জন্ম নেওয়া জনপ্রিয় নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টারকে ২০০৪ সালের ৭ মে তৎকালীন বিএনপি–জামায়াত জোট সরকারের সময় টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শ্রমিক সমাবেশ চলাকালে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এই হত্যাকান্ডের পর তার ছোট ভাই মতিউর রহমান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল দ্রুত বিচার আইনে এই হত্যা মামলার রায় হয়। এতে মোট ৩০ আসামীর মধ্যে ২ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। মামলার প্রধান আসামী বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ অপর ২২ জনকে ফাঁসির আদেশ ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন আদালত।
২০১৬ সালের ১৫ জুন আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল মামলার আদালতে দেয়া রায়ে ৬ জনকে ফাঁসি, ৭ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১৫ জনকে খালাস দেয়া হয়। এ রায় এখনও কার্যকর হয়নি।
যূথী/দীপ্ত সংবাদ