মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অর্জিত বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে জঙ্গির তকমা দিতে চেয়েছিল উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠি। বাংলাদেশ পুলিশের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে জঙ্গিবাদ আজ নির্মূল হয়েছে॥
আজ সেই ভয়াল বিভীষিকাময় রাত্রি! আমি সেই সময় এডিসি গুলশান হিসেবে কর্মরত। ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশান হলি আর্টজান জঙ্গি হামলায় বীরের মত সামনে থেকে লড়ে শাহাদত বরণ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ৩০ ব্যাচের মেধাবী শিক্ষার্থী বিসিএস ৩০ ব্যাচের পুলিশ ক্যাডারের রবিউল ইসলাম, তৎকালীন ওসি বনানী সালাউদ্দিনসহ অনেক বিদেশী নাগরিক।
জঙ্গিহামলার খবর পেয়ে তৎকালীন ডিসি গুলশান মোস্তাক আহমেদ (বর্তমানে ডিআইজি) স্যারসহ অত্র বিভাগের কিছু অফিসার ও ফোর্স নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই।
এই হামলা প্রতিরোধে আমি গুরুতর ভাবে আহত হই। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গিদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে গ্রেনেড হামলার শিকার হই। এখনও শরীরে স্প্লিন্টার বয়ে বেড়াচ্ছি এবং দীর্ঘদিন দেশ বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে মোটামুটি সুস্থতার সহিত বর্তমানে ডিসি ডিবি, ডিএমপি হিসেবে কর্মরত আছি। সম্প্রতি পুলিশ সুপার (SP) পাবনা হিসেবে পদায়ন হলো। শীঘ্রই নতুন কর্মস্থলে যোগদান করব ইনশাল্লাহ।
আজকের এই দিনে ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশান হলি আর্টিজান বেকারীতে বর্বরোচিত জঙ্গি হামলায় নিহত শহিদ রবিউল, ওসি সালাউদ্দিন সহ সকলের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এবং গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহতদের দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করছি।
এই বর্বরোচিত হামলা থেকে যারা বেঁচে গেছেন তাদের জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি শুকরিয়া আদায় করছি।
বাংলাদেশ পুলিশ জঙ্গিবাদ দমনে সফল।
স্যালুট বাংলাদেশ পুলিশ।
লেখক: ডিসি (ডিবি) ওয়ারী বিভাগ, ডিএমপি
এসএ/দীপ্ত সংবাদ