আচরনবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মুন্সীগঞ্জ–৩ আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকার মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস আদালত হাজির হয়েছেন।
শনিবার (২ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং মুন্সীগঞ্জ যুগ্ম জেলা ও দায়রাজজ আদালত–২ এর বিচারক ফাহমিদা খাতুনের আদালতে উপস্থিত হন। পরে তিনি সেখানে লিখিতভাবে তা ব্যাখ্যা দেন।
এর আগে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে আসনটির নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং মুন্সীগঞ্জ যুগ্ম জেলা ও দায়রাজজ আদালত–২ এর বিচারক ফাহমিদা খাতুন লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন।
মৃণাল কান্তি দাস বলেন, নৌকায় মনোনীত হওয়ায় আমার নির্বাচনী এলাকার আসি। সাধারণ মানুষ আবেগ আপ্লুত হয়ে আমাকে স্বাগত জানাতে আসে। আমি বরাবরের মত নির্বাচন কমিশনের আইন কাকুন ও নির্বাচনের আচরণবিধি বিষয়ে সচেতন ছিলাম। আমি জনতার ভীড় উপেক্ষা করে তাদের বুঝানোর চেষ্টা করেছি। এটা নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন, এখন এটার উপযুক্ত সময় নয়।
তিনি আরও বলেন, একজন প্রার্থীর পক্ষে আমাদের সহযোগি সংগঠনের নেতা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। আমি আমার লিখিত ব্যাখ্যা জমা দিয়ে গেলাম। তাতে উল্লখ করেছি অনাকাঙ্ক্ষিত অনভিপ্রেত।
কারন দর্শানোর বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, নৌকার মনোনীত প্রার্থী এড. মৃণাল কান্তি দাস গত ২৭ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জ শহরে গোলচত্বর এলাকায় সভা সমাবেশ করেন। মোটর সাইকেল ব্যবহার করে শোভা যাত্রা করেন। এ সময় শত শত নেতা কর্মীরা সুপার মার্কেট এলাকায় জড়ো হয়। এতে মুন্সীগঞ্জ শহরের থানা সড়ক, হাসপাতাল সড়ক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরী হয়। ওই এলাকায় প্রায় এক ঘন্টা স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। ওই বিষয়ে সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাজমুল হাসান নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কার্যালয়ে এড. মৃণাল কান্তি দাসের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান আরও জানান, প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যসমূহ বিশ্লেষনে পরিলক্ষিত হয়েছে। মৃণাল কান্তি দাস উক্তরুপ কার্যক্রমের মাধ্যমে সংসদীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমাল বিধান লঙ্ঘন করেছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে, থামানো যাবে না: ওবায়দুল কাদের
কায়সার হামিদ/মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ