আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে ১৮ ফেব্রুয়ারি, বুধবার—এমনটাই জানিয়েছে আমিরাতের জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থা। সংস্থাটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হিজরি ১৪৪৭ সনের শাবান মাসের ২৯ তারিখে সূর্যাস্তের সময় আকাশ পরিষ্কার থাকলে চাঁদ দেখা যাওয়ার পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে। সে অনুযায়ী, পরদিন থেকেই রোজা শুরু হতে পারে।
তবে চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে রমজানের চূড়ান্ত শুরুর তারিখ নির্ধারণ করে থাকে প্রতিটি দেশের ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ। ফলে দেশভেদে রমজান মাস শুরু হওয়ার তারিখে এক–দুই দিনের পার্থক্য দেখা যেতে পারে।
ইসলামী বর্ষপঞ্জির নবম মাস রমজান মুসলমানদের কাছে আত্মশুদ্ধি, ধৈর্য, সহানুভূতি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাস হিসেবে পরিচিত। এই মাসে ফজরের আগে সেহরি খেয়ে এবং সূর্যাস্তের পর ইফতার করে সারা দিন রোজা রাখা হয়।
এ মাসেই কোরআন শরিফ নাজিল হয়, যা রমজানের গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তোলে। মাসজুড়ে মুসলমানরা নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, দোয়া–ইস্তেগফার, সদকা ও মানবসেবায় নিজেদের নিয়োজিত রাখেন।
রমজানের শেষ দশকে রয়েছে লাইলাতুল কদর বা কদরের রাত, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম হিসেবে বিবেচিত। এই রাতেই পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। মুসলমানরা এ রাতে ইবাদত–বন্দেগি করে পরম করুণাময় আল্লাহর নিকট ক্ষমা, দয়া ও হেদায়াত কামনা করেন।
রমজান শেষে উদযাপিত হয় ঈদুল ফিতর, যা মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এক মাস সিয়াম সাধনার পর ঈদের দিনে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা–সাক্ষাৎ, উপহার আদান–প্রদান এবং আনন্দ–ভোজনের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করা হয়।