পদ্মা সেতু দিয়ে রাজধানীর সাথে দেশের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সরাসরি সড়ক সংযোগের পর এবার পূরণ হতে যাচ্ছে রেল সংযোগের স্বপ্ন। ২৫ মার্চ সেতুর মূল অংশে ৬ দশমিক এক পাঁচ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ হয়। ফলে প্রস্তুত হলো পদ্মা সেতু দিয়ে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার রেলপথ।
আগামী মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) প্রথমবারের মতো ভাঙ্গা থেকে সেতুর ওপর দিয়ে মাওয়া স্টেশন পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হবে।
তবে ঢাকা–মাওয়া অংশে রেলপথ বসানোর কাজ এখনো অনেকটাই বাকি। এর দৈর্ঘ্য ৩৯ কিলোমিটার। যার বড় একটি অংশ এলিভেটেড ও পাথরবিহীন রেলপথ। কর্তৃপক্ষের দাবী, জুলাইয়ের মধ্যে শেষ হবে এই অংশের কাজ।
প্রকল্প সূত্র বলেছে, রেললাইন বসে গেলেও খুঁটিনাটি অনেক কাজ বাকি। সেতুতে বসানো রেললাইনে এখনও ওয়েল্ডিংয়ের কাজ শেষ হয়নি। ফলে গ্যাংকার খুব আস্তে চালাতে হবে। তবু গ্যাংকার ঝাঁকি খাবে। যতটুকু পথে রেললাইন বসেছে তাতে ট্রেন চলতে অন্তত আরো তিন মাস লাগবে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের উপ–পরিচালক শামীমা নাসরিন বলেন, ঢাকা থেকে ভাংগা পর্যন্ত ট্রেন চলবে সেপ্টেম্বর থেকে।
দক্ষিণাঞ্চলে বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা দেশের অর্থনীতির চিত্র বদলে দেবে বলে আশা এই বিশ্লেষকের।
পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেলপথের কাজ চলছে তিনটি অংশে। চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত, ঢাকা–মাওয়া শতকরা ৭৩ ভাগ, মাওয়া–ভাঙ্গা ৯১ ভাগ ও ভাঙ্গা–যশোর অংশে ৬৬ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আর পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৭৪ ভাগ।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ