মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম ধাপ। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে ইজতেমার মূল ময়দানে লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে এ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাতের শুরা–ই–নেজামের মুরব্বি মাওলানা মো. জুবায়ের।
মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি ও কল্যাণ কামনার পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও জাতীয় জীবনের বিভিন্ন সংকট থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করা হয়। বিশেষ করে দেশে–বিদেশে অস্থিরতা, ধর্মীয় ও নৈতিক অবক্ষয় থেকে রক্ষার জন্য আল্লাহর সাহায্য কামনা করেন মুসল্লিরা।
গত বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) মাগরিবের নামাজের পর আমবয়ানের মাধ্যমে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা ‘ইমান ও আমল’–এর ওপর বয়ান দিয়ে ইজতেমার কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর শুক্রবার থেকে পাকিস্তানের মাওলানা জিয়া উল হকসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আলেমরা ধারাবাহিকভাবে বয়ান করেন।
শনিবার ইজতেমা ময়দানে যৌতুকবিহীন বিয়ের ৬৩টি বিশেষ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে, ইজতেমায় অংশ নেয়া মুসল্লিদের মধ্যে বার্ধক্য ও শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতায় কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
প্রথম ধাপে ৪১ জেলা ও ঢাকার একাংশের মুসল্লিরা অংশ নেন। আগামীকাল সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা। এতে দেশের ২২ জেলা ও ঢাকার বাকি অংশের মুসল্লিরা অংশ নেবেন।
অন্যদিকে, মাওলানা সাদের অনুসারীরা ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি আলাদাভাবে ইজতেমার আয়োজন করবে বলে জানা গেছে।
বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। র্যাব, পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন। মুসল্লিদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে ট্রাফিক ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম ধাপ শেষ হলেও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ভিড় আগামী কয়েকদিন ধরে থাকবে বলে মনে করছেন আয়োজকরা। দ্বিতীয় ধাপেও ব্যাপক মুসল্লির সমাগমের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।