টঙ্গীর তুরাগতীরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতে মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর অনুসারীদের আয়োজিত এই পর্বের মধ্য দিয়ে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটবে।
দুপুর ১২টায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর ছেলে ইউসুফ বিন সা’দ। আখেরি মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করা হবে।
এর আগে, ফজরের নামাজের পর মুসল্লিদের উদ্দেশে হেদায়েতি বয়ান পেশ করেন ভারতের মোরসালিন, যার বাংলা তরজমা করেন মাওলানা ওসামা ইসলাম। এছাড়া, খিত্তায় খিত্তায় ঈমান–আকিদার তালিম চলছে, যেখানে মুসল্লিদের ইসলামিক জীবনপদ্ধতি সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে, আখেরি মোনাজাতকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। পুরো ইজতেমা ময়দানে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া, ড্রোন ও সিসিটিভির মাধ্যমে পুরো এলাকা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ইজতেমা শেষে মুসল্লিদের নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ রেলওয়ে আটটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে। এছাড়া, বিআরটিসি বাস ও অন্যান্য গণপরিবহন সার্ভিস বাড়ানো হয়েছে।
এবারের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিয়েছেন বিশ্বের ৪৯টি দেশের প্রায় দেড় হাজার বিদেশি মুসল্লি। দেশি–বিদেশি লাখো মুসল্লির উপস্থিতিতে ইজতেমার ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। এবারের দ্বিতীয় পর্বে ইজতেমা ময়দানে তিনজন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
প্রতি বছর বিশ্ব ইজতেমা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ইসলামিক সমাবেশ হিসেবে পরিচিত, যেখানে মুসল্লিরা ইসলামের দাওয়াত, আত্মশুদ্ধি ও দ্বীনি শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে সমবেত হন। বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের উদ্যোগে ১৯৬৭ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন হয়ে আসছে। সময়ের পরিবর্তনে এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, বরং সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়ে উঠেছে।