প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতির একটি কার্যকরী অংশ আকুপ্রেশার। এটি শুধু শরীরের ব্যথা উপশমের জন্যই নয়, বরং সর্দির মতো সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানেও বিশেষ কার্যকর। মাত্র দুই মিনিটের আকুপ্রেশার চিকিৎসা পদ্ধতিতে সর্দি সারিয়ে তুলতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদরে মতে, আকুপ্রেশারের মাধ্যমে সঠিকভাবে শরীরের নির্দিষ্ট পয়েন্টে চাপ প্রয়োগ করে সর্দি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। বিশেষ করে নাক বন্ধ হওয়া, নাক দিয়ে পানি পড়া বা শ্বাসকষ্টের ক্ষেত্রে আকুপ্রেশার খুবই কার্যকর।
আকুপ্রেশার পদ্ধতিতে সর্দি সারাতে যে দুইটি প্রধান পয়েন্টে চাপ প্রয়োগ করা হয় সেগুলো হলো:
১. LI-20 (Yingxiang):
অবস্থান: নাকের দুই পাশে।
পদ্ধতি: আঙুল দিয়ে মাঝারি চাপ দিয়ে ১–২ মিনিট ধরে রাখুন।
২. Yintang:
অবস্থান: দুই ভ্রুর মাঝখানে।
পদ্ধতি: আঙুল দিয়ে আলতো করে চাপ দিন এবং ১–২ মিনিট ধরে রাখুন।
এই দুটি পয়েন্টে নির্দিষ্টভাবে চাপ প্রয়োগ করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, যার ফলে সর্দি এবং শ্বাসকষ্ট কমে আসে।
তো সর্দি থেকে মুক্তি পাওয়া এখন শুধু দুই মিনিটের ব্যাপার। সঠিক পয়েন্টে সঠিকভাবে চাপ প্রয়োগ করলে আপনি সর্দি থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে পারেন।
আকুপ্রেশারের সুবিধা: আকুপ্রেশার পদ্ধতিতে কোনো ওষুধ বা কেমিক্যাল ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াবিহীন। যারা সর্দি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছেন, তারা সহজেই ঘরে বসে আকুপ্রেশার পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন।
সতর্কতা: যদিও আকুপ্রেশার একটি নিরাপদ পদ্ধতি, তবুও বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে, যেকোনো আকুপ্রেশার পদ্ধতি শুরু করার আগে একজন প্রশিক্ষিত থেরাপিস্টের পরামর্শ নেয়া উচিত। এতে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা সহজ হয় এবং চিকিৎসার কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
এমবি/এসএ/দীপ্ত সংবাদ