আওয়ামী লীগ স্বাধীনতাবিরোধী– মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী, বঙ্গবন্ধুর খুনিচক্র, ভুঁইফোড়, দালাল রাজনীতিবীদ ও কালোবাজারীদের ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সৃষ্টি বিএনপির।
শুক্রবার (৫ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান কাদের।
তিনি বলেন, তখন এ দেশের মুক্তিযোদ্ধারা অবর্ণনীয় নির্যাতন–নিপীড়নের শিকার হয়। মুক্তিযোদ্ধারা তখন নিজেদের পরিচয় দিতেও ভয় পেতেন। তথাকথিত সেনা অভ্যুত্থানের মিথ্যা অভিযোগে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর শত শত মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা এবং শত শত মুক্তিযোদ্ধা সেনাকে ফাঁসি দিয়ে ও ফায়ারিং স্কোয়াডে নৃসংশভাবে হত্যা করেন জিয়াউর রহমান।
বিএনপি একটি বিষবৃক্ষে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে এখন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রশ্ন তুলে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন। এমন বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাঙালি জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন যে স্বাধীনতা, তার ইতিহাসের সঙ্গে আওয়ামী লীগ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগ এই জনপদের সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পথপ্রদর্শক। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের সংগঠন। অথচ মির্জা ফখরুল আওয়ামী লীগে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যার হিসাব তুলতে গিয়ে নিজের স্বাধীনতাবিরোধী অবস্থানকেই সুস্পষ্ট করেছেন।
তিনি বলেন, ব্যক্তিস্বার্থে ও ক্ষমতার লোভে আদর্শচ্যুত কতিপয় দালাল, খুনি ও স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠীকে নিয়ে গঠিত বিএনপির মহাসচিব আওয়ামী লীগ সম্পর্কে এই ধরনের অবমাননাকর বক্তব্য তাদের স্বাধীনতাবিরোধী অবস্থানের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছু না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে যদি কেউ আওয়ামী লীগকে বিচ্ছিন্ন করতে চায় তাহলে তারাই এ দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারের প্রতি শতভাগ নিষ্ঠা রেখে সুখি– সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণই আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘মির্জা ফখরুল বিভেদের কথা বলছেন। এতে আমাদের আফসোস হয়। জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাংলার হিন্দু–মুসলমান–বৌদ্ধ–খ্রিস্টান সব ধর্মের মানুষ যুদ্ধ করে এ দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছে। জাতির পিতাকে হত্যার পর খুনি ঘাতকচক্র স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যায়। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রাজনৈতিক বৈধতা দিয়ে বিভেদের গোড়াপত্তন করেন সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান।’
এফএম/দীপ্ত সংবাদ