রাজধানী ঢাকার গুলিস্তান এলাকা আজ সকাল থেকেই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি একে অপরের কর্মসূচিকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
রবিবার (১০ নভেম্বর) সকালে গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হন এবং বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীকে সেখানে দেখা যায়নি। তবে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশে সোপর্দ করেছেন, যাদেরকে পরে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
রাজধানীর জিরো পয়েন্ট ও পল্টন মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গুলিস্তান ও জিরো পয়েন্ট এলাকায় পুলিশ, র্যাব এবং বিজিবির উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ সতর্কতা হিসেবে জলকামান ও সাঁজোয়া যানও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বিজিবির গাড়ি টহল দিতে দেখা গেছে।
শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে গুলিস্তানের নূর হোসেন চত্বরে সকালে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। আওয়ামী লীগ তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিকেল ৩টায় জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেয়।
অন্যদিকে, এই কর্মসূচিকে প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে বিএনপি ও তাদের সমর্থিত সংগঠনগুলো আগেই জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও সেখানে দুপুরে গণজমায়েত করার ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিলকে “ফ্যাসিবাদী দল” হিসেবে আখ্যায়িত করে তাদের কর্মসূচি বন্ধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দেন। তিনি জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগকে কোনো কর্মসূচি পালনের সুযোগ দেওয়া হবে না। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীবও একই বিষয়ে কড়া সতর্কবার্তা দেন, যেখানে তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, গণহত্যাকারী এবং নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মসূচিকে কঠোরভাবে দমন করা হবে।
এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক সতর্কাবস্থায় রয়েছে, এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ