দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার ও সুদীর্ঘ সময় সংগ্রাম করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই দীর্ঘ আন্দোলন–সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও প্রগতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (১২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। এই বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য নেতাদের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেনাতন্ত্রের সীমানা পেরিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমান সরকার দেশের সংবিধান ও আইন মেনে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের আশা–আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই পরিচালিত হয়ে আসছে সরকারের সব কার্যক্রম।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণকে ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন আজ তা দৃশ্যমান বাস্তবতা। বঙ্গবন্ধুকন্যার ভিশনারি নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংরক্ষিত তথ্যের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি সংঘটিত অপরাধসমূহ দমনে ডিজিটাল সিকিউরিটি (নিরাপত্তা) নিশ্চিতকরণে দেশে দেশে ডিজিটাল আইন প্রণীত হয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) প্রণয়ন করা হয়েছে। কাউকে হয়রানি কিংবা ভিন্ন মত দমন এই আইনের লক্ষ্য নয়। বিএনপি যেহেতু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে রাষ্ট্র ও জনগণের স্বার্থবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, সেহেতু তারা রাজনৈতিকভাবে এই আইনের বিরোধিতা করে আসছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে এসব বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
অনু/দীপ্ত সংবাদ