বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ আশরাফুল এখন নতুন ভূমিকায়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) থেকে লেভেল–৩ কোচিং সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন তিনি, যা তাকে কোচ হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাজ করার অনুমোদন দিচ্ছে। কোচিং ক্যারিয়ারের এই নতুন অধ্যায় শুধু তার জন্যই নয়, দেশের ক্রিকেটের জন্যও একটি মাইলফলক।
২০০১ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া মোহাম্মদ আশরাফুল দ্রুতই বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটে অমর হয়ে যান। কিন্তু ক্যারিয়ারের উত্থান–পতনের মাঝে ২০১৩ সালে বিপিএলে ফিক্সিং কেলেঙ্কারির কারণে নিষিদ্ধ হন প্রতিভাবান এই ক্রিকেটার। নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি আবারও ক্রিকেটে ফিরেছেন এবং তরুণ খেলোয়াড়দের পরামর্শ দিতে শুরু করেছেন।
কোচিংয়ের প্রতি তার আগ্রহ এবং ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা প্রয়োগ করার আকাঙ্ক্ষা থেকেই তিনি আইসিসির লেভেল–৩ কোচিং কোর্সে অংশগ্রহণ করেন। এই কোর্সটি ক্রিকেটের টেকনিক্যাল, ট্যাকটিক্যাল, এবং মানসিক দিকগুলোর ওপর জোর দেয় এবং একজন কোচকে আরও পেশাদারভাবে তার দল পরিচালনা করার যোগ্যতা প্রদান করে। আশরাফুল এখন কেবলমাত্র বাংলাদেশের ক্রিকেটারদেরই নয়, বিশ্বের অন্যান্য প্রতিভাবান ক্রিকেটারদেরও প্রশিক্ষণ দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করলেন।
কোচ হিসেবে আশরাফুলের সাফল্য ইতিমধ্যেই তরুণ ক্রিকেটারদের মাঝে উদ্দীপনা তৈরি করেছে। তিনি তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বলেন, ‘আমার লক্ষ্য ক্রিকেটের প্রতি আমার ভালোবাসা ও অভিজ্ঞতাকে নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়দের কাছে পৌঁছে দেয়া। আমি বাংলাদেশের ক্রিকেটকে বিশ্বমানের কোচিং দিতে এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমাদের খেলোয়াড়দের আরও উন্নত করে তুলতে চাই।‘
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে মোহাম্মদ আশরাফুলের লেভেল–৩ কোচিং সার্টিফিকেট অর্জনকে স্বাগত জানানো হয়েছে।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘আশরাফুলের কোচিং ক্যারিয়ার শুরুর এ মুহূর্তটি বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য একটি ইতিবাচক দিক। আমরা আশাবাদী যে, তার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা তরুণ খেলোয়াড়দের পরিপূর্ণভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।‘
বাংলাদেশ ক্রিকেটে কোচিংয়ের ক্ষেত্রে এর আগে খালেদ মাহমুদ, মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, এবং রাজিন সালেহের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটাররা কোচ হিসেবে সাফল্য দেখিয়েছেন। আশরাফুলের মতো একজন প্রাক্তন তারকার এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের কোচিং সেক্টরে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে।
এসএ