শনিবার ( ০১ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রকাশিত “ধর্ষণের শিকার তরুণীর আত্মহত্যা, চাপের মুখে দেড় লাখে মীমাংসা!” সংবাদের প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয় যে, কুমিল্লার দেবীদ্বারে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার এক তরুণী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ও মাতব্বরদের চাপের মুখে থানা বা আদালতে অভিযোগ করতে পারছে না ভুক্তভোগীর পরিবার। বাধ্য হয়ে মীমাংসা করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
পিংকির আত্মহত্যার পর অভিযুক্তদের বাঁচাতে সালিস করে ঘটনার মীমাংসা করা হয়! গণধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে ৫০ হাজার টাকা করে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সালিশে তাদের কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার করে ৩০ হাজার টাকা আদায় করা হয়।
কমিশন মনে করে, আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করার প্রচেষ্টা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লংঘন। প্রকাশিত সংবাদে দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেফতার এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে কমিশনের নিকট প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ সুপার, কুমিল্লা-কে বলা হয়।
আল/দীপ্ত সংবাদ