আইএমএফের ঋণের শর্ত আপাতদৃষ্টিতে সহজ মনে হলেও এর গভীরে জটিলতা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি থাকলে চাপ পড়বে নিম্নআয়ের মানুষের ওপর। তাই, জোড় দিচ্ছেন অর্থনৈতিক সুব্যবস্থা ও সুশাসনের ওপর।
আইএমএফের ৪৭০ কোটি ইউএস ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি এরইমধ্যে পেয়েছে বাংলাদেশ। মোটাদাগে ঋণের ৩৮ শর্তের মধ্যে মূল শর্তগুলো হলো- রাজস্ব সংগ্রহ বাড়াতে হবে, সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণ কমানো। ব্যাংকঋণের সুদহারের সীমা তুলে দেওয়া, ডলারের দাম হবে একটি, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে জ্বালানির দাম।
শর্তগুলো সহজ মনে হলেও এগুলো পূরণে বেশ জটিলতা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। বলছেন, সঠিকপথে না হাঁটলে এর খেসারত সাধারণ মানুষকেই দিতে হবে। আইএমএফের শর্ত মানতে গেলে মূল্যস্ফীতি কমার সুযোগ খুবই কম উল্লেখ করে অর্থনৈতিক সুব্যবস্থার পাশাপাশি রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।
আইএমএফের ঋণের বেশকিছু ইতিবাচক দিক আছে জানিয়ে এই বিশেষজ্ঞরা জানান, সতর্কতা অবলম্বন করলে দেশের অর্থনীতির ভিত শক্ত হবে।