সোমবার, ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১লা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৩ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
সোমবার, ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১লা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৩ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ইউরোপে রপ্তানি হচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ের আম

দীপ্ত নিউজ ডেস্ক
4 minutes read

দ্বিতীয়বারের মতো ঠাকুরগাঁওয়ের আম ইউরোপে রপ্তানি হচ্ছে। এতে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের লাভের পাশাপাশি সমৃদ্ধ হবে জেলার ও দেশের অর্থনীতি। এ রপ্তানির মাধ্যমে ভবিষ্যতে মানসম্মত আম বিদেশে রপ্তানির পথ সুগম হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও। জেলায় ধান, গম, ভুট্টাসহ বিভিন্ন রকম সবজি ও ফল উৎপাদিত হয়। উৎপাদিত পণ্য জেলার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

দ্বিতীয়বারের মতো এই জেলার আম্রুপালি, বানানা ম্যাংগো ও বারি আম৪ জাতের আমসহ বিভিন্ন জাতের আম ইউরোপে রপ্তানি হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে অর্জিত হবে বৈদেশিক মুদ্রা।

মানসম্মত আম উৎপাদন, ন্যায্যমূল্য ও রপ্তানিকারকদের সঙ্গে যথাযথ সমন্বয়ের মাধ্যমে এ জেলা থেকে এ বছর বিপুল পরিমাণ আম রপ্তানি হবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের।

নিজের বাগানের উৎপাদিত আম ইউরোপে রপ্তানি করতে পেরে খুশি বাগান মালিকরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার আম বাগান পরিদর্শন করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।


বাগান মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, নিজের বাগানের আম বিদেশে পাঠাতে পেরে আমি অনেক গর্বিত। এ জেলার আম অনেক সুস্বাদু। রপ্তানি হলে জেলায় আম চাষ আরও বাড়বে।

আরেক বাগান মালিক একরাম আলী বলেন, আম রপ্তানির মাধমে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পেরে সত্যিই অনেক ভালো লাগছে।

রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান গ্লোাবাল ট্রেড লিংকের সিইও কাওসার আহমেদ রুবেল বলেন, ঠাকুরগাঁয়ের আম রপ্তানি উপযোগি বলে আমরা মনে করি। তাই দ্বিতীয়বারের মতো এই জেলা থেকে আম রপ্তানি করা হচ্ছে। আশা করছি চাষিরা আমাদের গুণগত মানসম্পন্ন আম সরবরাহ করবে। তাহলে বিদেশে আমাদের আমের চাহিদা বাড়বে, সেই সঙ্গে আমের বাজার আরও সপ্রসারিত হবে।


রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আরিফুর রহমান বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার দ্বিগুণ আম রপ্তানি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বছর প্রকল্প শুরু হয়েছে, এর আওতায় ঠাকুরগাঁওয়ের আম যাবে ইউরোপের বাজারে। এর মাধ্যমে বাগান মালিকদের পাশাপাশি এ শিল্পে যারা আছেন তারা সবাই লাভবান হবেন বলে আশা করছি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপে আম পাঠানো হবে। বিভিন্ন কৃষকের মান সম্মত আম সংগ্রহ করা হবে। তারপর তা প্রক্রিয়াজাত করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হবে। রপ্তানির মাধ্যমে চাষিরা অধিক মূল্যের পাশাপাশি আরো বেশি পরিমাণে স্থানীয় শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। এতে জেলা এবং দেশের অর্থনীতিতে পরিবর্তন আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More