রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি
রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

সোনালী মুরগীর বেঁধে দেয়া দাম নিয়ে হতাশ খামারিরা

দীপ্ত নিউজ ডেস্ক
4 minutes read

সোনালী মুরগীর বেঁধে দেয়া দাম নিয়ে হতাশায় পড়েছেন খামারিরা। এমন প্রজ্ঞাপনে এক রকম মাথায় হাত তাদের।

খামারিরা বলছেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর যে উৎপাদন খরচ দেখিয়েছে তা অবাস্তব। আর উৎপাদক পর্যায়ে মাত্র দুই টাকা ৬৭ পয়সা মুনাফায় সোনালী মুরগী উৎপাদন কোনভাবেই সম্ভব নয়। এ অবস্থায় সোনালী মুরগী উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া ছাড়া কোন উপায় দেখছেন না বলেই জানিয়েছেন তারা।

সম্প্রতি সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর যে ২৯টি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করেছে, তার একটি সোনালী মুরগী।

প্রজ্ঞাপনে এই মুরগীর কেজিতে উৎপাদন খরচ ধরা হয়েছে ২৪১ টাকা ৬২ পয়সা। উৎপাদক পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪৪ টাকা ২৯ পয়সা। কিন্তু বর্তমানে খামারিদের প্রতি কেজি সোনালী মুরগীর উৎপাদন খরচই হচ্ছে ২৬০ টাকা এবং তারা বিক্রি করছেন ২৯০ টাকা করে । এতে করে কৃষি বিপণনের বেঁধে দেয়া উৎপাদন খরচ ও বিক্রয় মূল্যের সঙ্গে বাস্তবতার কোন মিল নেই।

কৃষি বিপণনের হিসাবে সোনালী মুরগীর খামারি অথবা উৎপাদনকারি লাভ করতে পারবে মাত্র এক শতাংশ। যদিও বিদ্যমান কৃষি বিপণন আইনের বিধান অনুযায়ী একজন উৎপাদক ৩০ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা করতে পারবে।

খামারিরা জানিয়েছেন, সোনালী মুরগী উৎপাদন করতে সময় লাগে দুই থেকে আড়াই মাস। থাকতে হয় পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সুবিধা। একইসঙ্গে বাচ্চার পরিচর্যায় সর্বক্ষণ ফিড বা খাবারের পাশাপাশি রোগ নিয়ন্ত্রণে দিতে হয় টিকা। এর মধ্যে কোন কারণে বাচ্চা মারা গেলে পড়তে হয় বড় লোকসানে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, উৎপাদক পর্যায়ে কেজি প্রতি মাত্র এক শতাংশ লাভে সোনালী মুরগী উৎপাদন কোনভাবেই সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন খামারিরা। তারা বলছেন, এই ধরনের প্রজ্ঞাপনের কোন যুক্তি নেই।

বড় কোন কোম্পানি সোনালী মুরগী উৎপাদন করে না। মূলত প্রান্তিক খামারিরাই এই মুরগী উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। একদিকে, এত চ্যালেঞ্জ অন্যদিকে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের এই প্রজ্ঞাপন মরার উপর খাড়ার ঘাঁবলছেন খামারিরা।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সোনালী মুরগীর যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে তা বাস্তবতার নিরিখে হয়নি বলে মনে করছেন খামারিরা। বিষয়টি বাস্তব সম্মত সমাধানের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

 

আল / দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More