ফেনীর সোনাগাজী পৌর শহরে প্রবেশের জিরো পয়েন্ট সড়ক দখল করে সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা, ব্যাটারীচালিত রিকশা স্ট্যান্ড ও সড়কে ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে টং দোকানের কারণে গুরুত্বপূর্ণ শহরের জিরো পয়েন্ট সড়কে জনদূর্ভোগ চরমে উঠেছে। প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার কবলে পড়ছে পথচারীরা।
উপজেলা প্রশাসন ও পৌর মেয়রের অফিস এবং বাসভবনের ৩শ গজের মধ্যে অবৈধ দখলদারদের দাপটে পৌর শহরের জিরো পয়েন্টের সৌন্দর্য্য বিনষ্ট হয়ে দীর্ঘদিন সড়ক সংকুচিত হয়ে আসায় জনমনে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, জিরো পয়েন্টের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে থেকে আওয়ামীলীগ অফিস পর্যন্ত সড়কের উত্তর পাশে সামনের অংশ অবৈধ টং দোকানগুলো সড়কের উপরে বসে চা সহ বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা করছে। সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা, ব্যাটারীচালিত রিকশা স্ট্যান্ড বানিয়ে একই পাশে সড়কের অধিকাংশ জায়গা দখল করে দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠা–নামার কারণে সড়ক সংকুচিত হয়ে স্বাভাবিক গাড়ী চলাচল ব্যহত হচ্ছে। স্থানীয় একশ্রেণির সুবিধাভোগীরা এসব সড়ক, ফুটপাত দখলে সহযোগীতা করে অনৈতিক সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিভিন্ন সময় উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করলেও পরবর্তীতে তাদের সহায়তায় আবার দখল হয়ে যাচ্ছে। মূলত এরা কথিত রাজনৈতিক পরিচয়বহন করে সুবিধাভোগী হিসাবে যেদল যখন ক্ষমতায় আসে তখন তার হয়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে থাকেন। প্রতিদিন হাজার হাজার স্কুল, কলেজের ছাত্র–ছাত্রী, যাত্রী, অফিসগামী ও সাধারণ পথচারীদের সড়ক সংকুচিত হওয়ার কারণে দূর্ভোগের অন্ত নেই। তার ওপর যখন তখন শত শত ব্যাটারীচালিত রিকশা সড়কের মধ্যে খানে দাঁড়িয়ে থাকছেন। কারো কোন মাথা ব্যথা নেই। এ অবস্থায় পৌর মেয়র ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করে পৌর শহরের জিরো পয়েন্টকে স্বাভাবিক যান চলাচল ও পথচারীদের চলাচলে দূর্ভোগ দূর করতে কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করছে সোনাগাজীর সর্বস্তরের জনগন।
এ বিষয়ে সোনাগাজী বাজারের তানিয়া ফ্যাশনের মালিক ব্যবসায়ী সাহেদুল ইসলাম জানান, শহরের জিরো পয়েন্টে জন দূর্ভোগ এখন চরমে উঠেছে। অবৈধ দখলদার ও সড়কের উপরের যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখার কারণে দূর্ভোগ চরমে পৌঁছে। দেখার কেউ নেই।
সোনাগাজী বাজার বনিক সমিতির সভাপতি ডা. নুর নবী জানান, উপজেলা প্রশাসন ও পৌর প্রশাসনকে এ বিষয়ে শক্ত অবস্থানে যেতে পারলে শহরের জিরো পয়েন্টে জনদূভোগ লাগব হবে।
সোনাগাজী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নিবাহী ম্যাজিষ্ট্রেট অনিক চৌধুরীর নিকট জনদূর্ভোগে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, অবৈধ উচ্ছেদ একটি চলমান প্রক্রিয়া। জনদূর্ভোগ লাগবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ