প্রবাসী বাংলাদেশিদের সামনে অফশোর ব্যাংকিংয়ের ফিক্সড ডিপোজিটের নানান সুবিধা তুলে ধরতে ৪ মার্চ পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে সিটি ব্যাংক আয়োজন করেছিলো রোড শো।
৫০০ প্রবাসী বাংলাদেশিদের সামনে সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন, অফশোর ব্যাংকে বিদেশি মুদ্রা ডলার ও ইউরোর আমানত বাড়ানোসহ প্রবাসীরা কিভাবে ফিক্সড ডিপোজিট করে লাভবান হতে পারে তা তুলে ধরেন।
সিটি ওক মানদো রেস্তোয়রায় আয়োজিত রোড শো তে প্রবাসী ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন– প্রবীণ কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব রানা তসলিম উদ্দিন, পর্তুগালস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কনসুল্যার লায়লা মুনতাজেরী দীনাসহ পর্তুগালের প্রবাসী ব্যবসায়ী, সাংবাদিক এবং কমিউনিটির বিশিষ্টজন ।
অফশোর ব্যাংকে অর্থ জমা রাখা প্রসঙ্গে মাসরুর আরেফিন বলেন, পর্তুগালের বসবাসরত যে কেউ অফশোর ব্যাংকে ন্যূনতম ১০০০ হাজার ইউএস ডলার বা ইউরো তিন মাস থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত জমা রাখলে ৬.৫% থেকে ৮.২৫% পর্যন্ত লাভ পাওয়া সম্ভব। একই সঙ্গে জমার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ডিপোজিটের কোন সীমা নেই।
তিনি আরও বলেন, সিটি ব্যাংকের এই নতুন প্রোডাক্ট আরো অনেক বিশেষায়িত সুবিধা প্রদান করছে যেন তাদের এই অফশোর ব্যাংকিং সেবা প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্পদ বৃদ্ধির জন্য সেরা অফার ওঠে।
মাসরুর আরেফিন জানান, প্রবাসী ব্যক্তি বা কোম্পানির পক্ষে বাংলাদেশে তার আত্মীয়–স্বজনও এই ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট চালু করতে পারবেন। জমা করা টাকা লাভসহ যে কোনো সময়ে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে কোনো বাধা নেই এবং এজন্য কোনো পূর্বানুমোদনের প্রয়োজন নেই।
উপস্থিত অতিথিদের প্রশ্নের পর মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘অফশোর ব্যাংকিং ফিক্সড ডিপোজিট প্রোডাক্ট নিয়ে পর্তুগাল প্রবাসীদের আন্তরিক আগ্রহ উদ্দীপনায় তারা অভিভূত।
এই আয়োজনের মাধ্যমে তারা প্রবাসী জনগোষ্ঠীর প্রতি সিটি ব্যাংকের দায়বদ্ধতা প্রকাশের পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতির বিকাশে জোর অংশগ্রহণের অঙ্গীকার পূরণ করছেন।
বিশ্বের অন্যান্য স্থানেও আগামীতে সিটি ব্যাংক একই ধরনের আয়োজন করবে এবং দেশের ডলার সঙ্কট দূরীকরণে জোর ভূমিকা রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে পর্তুগালের এমন আয়োজন করার জন্য সিটি ব্যাংককে ধন্যবাদ জানিয়ে কমিউনি ব্যক্তিত্ব রানা তাসনিম বলেন, লিসবনের অনেক ব্যবসায়ী রয়েছে যাদের অর্থ অলস পড়ে আছে। তারা যদি পর্তুগালে এই অর্থ রাখে তাহলে তাদের সর্বোচ্চ সুদের হার ২ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে। কিন্তু সিটি ব্যাক্ত সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ লাভ দিচ্ছে। তাই যাদের অর্থ অলস পরে আছে তারা যদি অর্থ ব্যাংকে রাখে তাহলে তারা আরও বেশি লাভবান হতে পারবে।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম বলেন, অফশোর ব্যাংকে অর্থ রাখলে বেশি মুনফা। যা প্রবাসে থাকা মানুষদের জন্য অনেক ভালো একটি উদ্যোগ। আমরা চাই লিসবনে সিটি ব্যাংক তাদের ব্যাংকিং সেবা চালু করুক। যাতে করে লিসবনসহ পর্তুগালে থাকা হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশের ব্যাংকে সহজে লেনদেন করতে পারে।
এজে/দীপ্ত সংবাদ