সরকারি বিধি মোতাবেক ছুটি না নিয়ে ভারত ভ্রমণে যাওয়ায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে ফেনীর পরশুরাম উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল গফুর ভূইয়াকে। এ সময় ২নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবুল কাশেমকেও শোকজ করা হয়েছে।
১৫ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার সিনিয়র সহকারী কমিশনার সুলতানা নাসরিন কান্তা স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে– কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ভারত ভ্রমণ করায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ আইন) ২০০৯ এর ৩৪ (৪) এর (জ) ধারা মোতাবেক চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণযোগ্য অপরাধ হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির পাঁচ দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে কেন ছুটি ছাড়া ভারতে গেছেন তা প্রমাণসহ লিখিত জবাবের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে চেয়ারম্যানের পক্ষে বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মো. আইয়ুব হোসেন ভবিষ্যতে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিদেশ ভ্রমণ করবেন না বলে অঙ্গীকারনামাসহ লিখিত জবাব জমা দিয়েছেন। জবাবে চেয়ারম্যান ভারতে চিকিৎসা সেবা নিতে যান বলে উল্লেখ করেছেন। চেয়ারম্যান গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ভারতে অবস্থান করেন।
সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ সেপ্টেম্বর বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল গফুর ভূইয়া সহধর্মিণীকে সঙ্গে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাই যান। তাঁর সঙ্গে ইউপি সদস্য আবুল কাশেমও ছিলেন।
ইউএনও কার্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, সোমবার ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল গফুর ভূঁইয়া ইউএনওর কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে শোকজের লিখিত জবাব ও অঙ্গীকারনামা জমা দিয়েছেন। তবে চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার বিষয়ে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র জমা দিতে না পারায় মঙ্গলবার পুনরায় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন।
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা হাবিব শাপলা জানান, জনপ্রতিনিধিদের বহির্গমন করতে হলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। অথচ নির্দেশনা অমান্য করে ২৬ সেপ্টেম্বর চেয়ারম্যান ভারতে যান। অপসারণযোগ্য অপরাধ হওয়ায় তাকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান তাঁর লিখিত জবাব দিয়েছেন।
বক্সমাহমুদ ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল গফুর ভূইয়া বলেন, অসুস্থতায় চিকিৎসার জন্য পরিবার নিয়ে ভারতে যাই। সরকারি অনুমতির জন্য আবেদন করেছিলাম। তবে অনুমতির আগেই বিদেশে গেলেও ইউএনওকে মৌখিকভাবে বলে যাই। তাই নিয়ম মেনেই ছুটির আবেদন করে ভারতে গিয়েছি। এখানে সরকারি নিয়মের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।
আবদুল্লাহ আল–মামুন/শায়লা/দীপ্ত নিউজ