গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিতর্কিত এই কমিটিতে ছাত্রলীগ থেকে অনুপ্রবেশকারী মনিরুল ইসলাম রতনকে আহ্বায়ক করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেছেন ত্যাগী নেতাকর্মীরা। এরই প্রতিবাদে বুধবার (১০ মে) এক প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে সভাপতিত্ব করেন নলডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদল নেতা প্রভাষক হামিদুল ইসলাম।
নলডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের অস্থায়ী কার্যালয়ে (নলডাঙ্গা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন) অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, শফিউল ইসলাম শাপলা, শহিদুল ইসলাম শাহীন, ইমাম আলী, আশরাফুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, শামিম প্রামাণিক, আনোয়ার হোসেন, আফজাল হোসেন, তাজুল ইসলাম, সুজান মিয়া প্রমুখ।
সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হামিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গত ২৫ এপ্রিল ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি ২নং নলডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটিতে পূর্ব অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম রতনকে আহ্বায়ক করা হয়। যা দলের সুনাম ক্ষুণ্ণসহ ত্যাগী নেতাকর্মীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এই মনিরুল ইসলাম রতন একসময়ে ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। ২০১৬ সালে তার সহোদর ভাই তরিকুল ইসলাম নয়ন এ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। তখন ধাণের শীষ প্রতীকের প্রচারণাকারীদের বাঁধা দেন। এরই মধ্যে ব্যক্তি স্বার্থসিদ্ধি করার জন্য আওয়ামী এজেন্ট হিসেবে কৌশলে যুবদলে অনুপ্রবেশ করেছে। অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম রতনের ইতোপূর্বে বিএনপির কোন সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততা ছিল না।
প্রকৃত ত্যাগী নেতাদের বঞ্চিত করে ওই আহবায়ক কমিটি গঠন করায় আমরা এ কমিটিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করছি এবং এটি ভেঙে দিয়ে পুনরায় ক্ষুন্ন আহ্বায়ক কমিটি গঠনের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা যুবদল আহবায়ক মাইদুল ইসলাম মিঠু ও অভিযুক্ত মনিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।
এমি/দীপ্ত সংবাদ