সোমবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৫
সোমবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৫

অনিয়মের কারণে দুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন স্থগিত!

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

স্বেচ্ছাচারিতা ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভোটার তালিকার মাধ্যমে নির্বাচন করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পাবনা সদর উপজেলার দুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।

রবিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাবনা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার হাফিজুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা তদন্ত করেছি। তদন্তে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভোটার তালিকা করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এতে নির্বাচনী বিধিমালা লঙ্ঘিত হয়েছে, বিভিন্ন ধারাউপধারা লঙ্ঘিত হয়েছে। অনেক অভিভাবকদের নাম বাদ পড়ে গেছে। এমন ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকায় নির্বাচন করলে তা বিধি মোতাবেক হবে না। এতে অভিভাবকশিক্ষকদের মাঝে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এ জন্য নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।

এর আগে পছন্দের প্রার্থীকে জেতাতে স্বেচ্ছাচারিতা ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভোটার তালিকা করে যেনতেন নির্বাচন আয়োজনের পাঁয়তারার অভিযোগ ওঠে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে টিআর (শিক্ষক প্রতিনিধি) পদে মনোনয়ন উত্তোলন করেনি শিক্ষকরা। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে সম্প্রতি জেলা প্রশাসক কার্যালয়, পাবনা জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়ে ছিলেন বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকরা।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৮মে বিদ্যালয়ের এডহক কামিটি অনুমোদিত হয়। নীতিমালা অনুযায়ী এডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৮০ দিন পূর্বেই ভোটার তালিকা করতে হয়। যা গত ১৮ আগস্ট ভাটার তালিকা প্রণয়নের সময় শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন কলা কৌশল ও স্বেচ্ছারিতার মাধ্যমে গত ২৭ আগস্ট ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা প্রকাশ করেন। পরে ৩০ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা প্রণয়ন সংক্রান্ত মিটিংয়ের আয়োজন করেন, যা নীতিমালা অনুযায়ী আয়োজনের কথা ছিল অন্তত একমাস পূর্বেই৷ এজন্য টিআর (শিক্ষক প্রতিনিধি) মিটিং অংশগ্রহণ করেনি। আবার তালিকায় বেশ কিছু শিক্ষার্থীর ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে যাতে তাদের অভিভাবকরা ভোটে অংশগ্রহণ করতে না পারেন।

তারা আরও অভিযোগ করেন, নির্বাচনে তার পছন্দের প্রার্থীকে জেতাতে নানা ষড়যন্ত্র ও পাঁয়তারা করছেন প্রধান শিক্ষক। এ বিষয়ে অভিযোগ দেয়ার হলেও তদন্ত না করেই নির্বাচনী কার্যক্রম চলছে। ফলে নির্বাচনে টিআর (শিক্ষক প্রতিনিধি) পদের জন্য মনোনয়ন না তোলার সিদ্ধান্ত নেন সকল শিক্ষকরা।

শামসুল আলম/শায়লা/দীপ্ত নিউজ

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More