বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অডিট আপত্তির পরও পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতির পাঁয়তারা চলছে বলে গুঞ্জন উঠেছে।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এ পদোন্নতি বাতিল চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিষদ।
চার জন কর্মকর্তা হলেন উপ–পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো মনিরুজ্জামান, অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপ পরিচালক জিএম শামসাদ ফখরুল, উপ–রেজিস্ট্রার শাওলী শারমিন, জনসংযোগ দপ্তরের উপ–পরিচালক ফারুক হোসেন চৌধুরী।
এর মধ্যে ফারুক হোসেন চৌধুরী, মো মনিরুজ্জামান এবং জিএম শামসাদ ফখরুলের নিয়োগ অবৈধ ও অনৈতিকভাবে দেয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়। কর্মকর্তারা স্মারক লিপিতে এই চারজন কর্মকর্তার অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার/অতিরিক্ত পরিচালক পদে পদন্নোতি বাতিলের অনুরোধ করেন।
প্রসঙ্গত, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী প্রশাসনিক অতিরিক্ত কোন পদ নেই। কিন্তু অতিরিক্ত পদ না থাকা স্বত্বেও ২০১৭ সালে থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৫ম গ্রেডের ৮ জন কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত পদে পদন্নোতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জন অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার, ১ জন অতিরিক্ত গ্রন্থাগারিক, ২ জন অতিরিক্ত পরিচালক, ১ জন অতিরিক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক রয়েছেন। একই সময়ে অর্গানোগ্রামে ২টি বিভাগের জন্য অধ্যাপক পদ না থাকলেও ২০২০ সালে ২ জন সহযোগি অধ্যাপককে অধ্যাপক পদে পদন্নোতি দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে দুইবার অডিট আপত্তি আসলেও বিষয়টিকে তোয়াক্কা করেননি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি হারুনুর রশিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অর্গানোগ্রাম সেখানে অতিরিক্ত কোন পদ নেই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ৪ জনকে পদন্নোতি দেওয়ার চেষ্টা করছে। প্রশাসন যদি এবার বিধি বহির্ভূত কাজ করে তাহলে আমরা আবার মাঠে নামবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ–উপাচার্য অধ্যাপক ড এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন, আগে যে পদন্নোতিগুলো দেওয়া হয়েছে সেটা আগের প্রশাসন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানোগ্রামে অতিরিক্ত পদ না থাকার বিষয়টি আমরা এসে অবগত হয়েছি।
নতুন চার কর্মকর্তার পদন্নোতির বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছেনা। বিষয়টি নিয়ে উপাচার্য মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি জানাবো।
এসএ/দীপ্ত নিউজ