শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে অটোরিকশা চালক শাহ আলম হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সাথে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (৮ অক্টোবর) দিবগত রাতে শ্রীবরদীর বালিয়াচন্ডি পশ্চিমপাড়া থেকে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, গাজীপুরের জয়দেবপুর চান্দনা চৌরাস্তার ইটভাটা এলাকার শাহজাহান মিয়ার ছেলে সবুজ মিয়া (৩৯) ও শেরপুরের ঝিনাইগাতীর ছোট মালিঝিকান্দা গ্রামের আ. রহিমের ছেলে রুপন মিয়া (২০)।
শেরপুরের পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম জানান, শ্রীবরদী উপজেলার ধাতুয়া আড়াইলাকান্দা গ্রামের জসিম উদ্দিন ওরফে ফকির আলীর ছেলে শাহ আলম ঢাকায় কাজ করতেন। কয়েকদিন আগে তিনি গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। পরে কিস্তিতে প্রায় দুই লাখ টাকায় একটি অটোরিকশা ক্রয় করেন। তিনি কুরুয়া এলাকায় অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
তিনি আরও জানান, গত ৭ অক্টোবর অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন শাহ আলম। ওইদিন রাত আটটার দিকে সবুজ ও রুপন ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে শাহ আলমের অটোরিকশায় উঠে কুচনিপাড়া এলাকায় নিয়ে যান। সেখান থেকে ঘুরে আসার সময় গলায় রশি পেঁচিয়ে খুন করা হয় শাহ আলমকে। পরে শাহ আলমের মরদেহ রাস্তার পাশে ধান ক্ষেতে ফেলে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ব্যপারে ঝিনাইগাতী থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। গতকাল রাতেই ঝিনাইগাতী থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সবুজ ও রুপনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় উদ্ধার করা হয় ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটি ও হত্যায় ব্যবহৃত রশিটি।
মঞ্জুরুল আহসান/পূর্ণিমা/দীপ্ত নিউজ