এত ঘন ঘন অগ্নিদুর্ঘটনায় উদ্বিগ্ন বিশ্লেষকেরা। এর সমাধান আদৌ হবে কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন তাদের। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি–মার্চে পর পর বড় আকারের অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটেছে চারটি। যাতে সম্পদের ক্ষতির সঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকজন।
অগ্নিদুর্ঘটনায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শহরের তালিকায় অনেক আগে থেকেই রয়েছে ঢাকা। এভাবে চলতে থাকলে পুরো ঢাকা শহর পড়বে মারাত্মক ঝুঁকিতে। একইসঙ্গে সার্বিক অর্থনীতিতেও চাপ বাড়বে বেশ। অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নেয়ার জোর দাবি তাদের।
অগ্নি এবং দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ এ কে এম শাকিল নেওয়াজ বলেন, যারা এগুলোর প্লানিং, ডিজাইনিং এ আছেন এবং যারা অনুমোদন দিচ্ছেন তাদের আরও কঠোর হতে হবে।
সবশেষ রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটে ভয়াবহ আগুনে প্রাণহানি না ঘটলেও, হাজার কোটি টাকা লোকসানের আশংকা করা হচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, গত ১৫ বছরে বিভিন্ন অগ্নিদুর্ঘটনায় শুধু ঢাকা শহরেই প্রাণ গেছে অন্তত সাড়ে চারশো জনের।
বিশ্লেষকদের প্রশ্ন, এর আসলে শেষ কোথায়। তাদের আশংকা এভাবে চলতে থাকলে এই অগ্নিদুর্ঘটনাই দেশের বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।
নগর পরিকল্পনাবিদ আকতার মাহমুদ বলেন, প্রায় প্রতিটি পাবলিক প্লেস, মার্কেট, প্রতিষ্ঠান প্রত্যেকটিরই কিছুনা কিছু ঝুঁকি আছে এবং যখন কোনো একটি প্রতিষ্ঠান কে বা কোনো একটি ভবন কে সার্ভে করা হয় তখন আমরা দেখেছি সেখানে ভুলে ভরা, ত্রুটি পূর্ণ। এখন এই ত্রুটি গুলো সারিয়ে তোলা এটাই হচ্ছে মূল চ্যালেঞ্জ।
আগুনের লেলিহান শিখায় প্রাণহানির সঙ্গে দেশের অর্থনীতিও হুমকিতে পড়ার আশংকা বিশ্লেষকদের। তাদের পরামর্শ, এখনি দীর্ঘমেয়াদী সমন্বিত পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে।
অনু/দীপ্ত সংবাদ