ওপেনার হাসান নাওয়াজের রেকর্ড সেঞ্চুরিতে ২০৫ রানের টার্গেট ১৬ ওভারে স্পর্শ করে সিরিজের তৃতীয় টি–টোয়েন্টি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। এই জয়ের পরও সিরিজে ২–১ ব্যবধানে পিছিয়ে পাকিস্তান।
আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে ২শ বা তার চেয়ে বেশি রান দ্রুত তাড়া করে জয়ের নয়া রেকর্ড গড়ল পাকিস্তান। ৪৪ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে ১০৫ রানে অপরাজিত থাকেন নাওয়াজ। টি–টোয়েন্টিতে যা পাকিস্তানের পক্ষে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ।
অকল্যান্ডে তৃতীয় টি–টোয়েন্টিতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৩ রানে ২ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। টিম সেইফার্ট ১৯ ও ফিল অ্যালেন শূন্য রানে ফিরেন।
এরপর এক প্রান্ত আগলে নিউজিল্যান্ডের রানের চাকা সচল রাখেন মার্ক চাপম্যান। টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও ৯৪ রানে আউট হন চাপম্যান। ৪৪ বলে ১১টি চার ও ৪টি ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান চাপম্যান।
শেষ দিকে অধিনায়ক মাইকেল ব্রেসওয়েলের ১৮ বলে ৩১ রানের সুবাদে ১৯.৫ ওভারে ২০৪ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের হারিস _রউফ ৩ উইকেট নেন।
জবাবে পাওয়ার প্লেতে ৭৪ রান তুলে বিচ্ছিন্ন হন মোহাম্মদ হারিস ও নাওয়াজ। জুটিতে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ২০ বলে ৪১ রানে থামেন হারিস।
সতীর্থকে হারানোর পর ২৬ বলে হাফ–সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ম্যাচে রানের খাতা খুলতে না পারা নাওয়াজ।
দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক সালমান আগাকে নিয়ে পাকিস্তানের জয়ের পথ তৈরি করেন তিনি। ১৬তম ওভারের পঞ্চম ডেলিভারিতে চার মেরে ৪৪ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে বাবরের রেকর্ড ভাঙ্গেন নাওয়াজ। বাবর ৪৯ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন।
১৬তম ওভারের শেষ বলে চার মেরে পাকিস্তানকে স্মরণীয় জয় এনে দেন নাওয়াজ। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে ২শ বা তার চেয়ে বেশি রান দ্রুত তাড়া করে জয়ের নয়া রেকর্ডের জন্ম দেয় পাকিস্তান। এর আগেরটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০০৭ সালে জোহানেসবার্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০৬ রানের টার্গেট স্পর্শ করেছিল প্রোটিয়ারা।
১০টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৪৫ বলে ১০৫ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ সেরা হন নাওয়াজ। ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৩১ বলে ৫১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন সালমান।
আগামী ২৩ মার্চ মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নামবে দু’দল।