আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। রাজনীতির উত্তাপ ছাপিয়ে চলে এসেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মোক্ষম সময়। ইতোমধ্যে ভোটের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। পুরো দেশ ও বিশ্ববাসীর নজর এখন ভোটের দিকে।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ভোট চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। দেশের ৪২ হাজার ২৫টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে শুরু হবে এবারের ভোটগ্রহণ।
নির্বাচনে ২৯৯টি আসনে মোট ১ হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এতে অংশ নিচ্ছে মোট ২৮টি রাজনৈতিক দল।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ২৬৬ জন, জাতীয় পার্টির ২৬৫, তৃণমূল বিএনপির ১৩৫ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) ৬৬ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১২২ জন, জাতীয় পার্টির (জেপি) ১৩ জন, বিকল্পধারা বাংলাদেশের ১০ জন প্রার্থী রয়েছেন।
নির্বাচনে নারী প্রার্থী হিসেবে রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯০ জন। আর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও অন্যান্য মিলে ৭৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নওগাঁ–২ আসনে এক প্রার্থীর মৃত্যুতে সেখানে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচনের পর ওই আসনে ভোটের জন্য পুনরায় তফসিল ঘোষণা করা হবে।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৩৪ জন। যার মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৫ লাখ ৯২ হাজার ৩১১ জন, নারী ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮৪৮ জন।
এবারই প্রথমবারের মতো ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হচ্ছে। শুধু দুর্গম অঞ্চলের ২ হাজার ৯৬৪টি কেন্দ্রে ব্যালট পাঠানো হয় ভোটের আগের দিন।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনে রাজধানী থেকে মাঠ পর্যায় পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাত লাখ ৮২ হাজার ৮৬৩ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এরমধ্যে পুলিশ সদস্য এক লাখ ৭৪ হাজার ৭৬৭ জন, আনসার পাঁচ লাখ ১৪ হাজার ২৮৮ জন, র্যাব পাঁচ হাজার ৫৬০ জন, বিজিবি ৪৪ হাজার ৯১২ জন, কোস্ট গার্ডের সদস্য দুই হাজার ৩৫৫ জন, সেনাবাহিনী সদস্য ৩৮ হাজার ১৫৪ জন, নৌবাহিনী সদস্য দুই হাজার ৮২৭ জন।
রাজধানীসহ সারাদেশে ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহল শুরু করেছেন। সঙ্গে আছে বিজিবি, আনসার, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌ সদস্যরা। তারা স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
উল্লেখ্য, কোনো অনিয়ম হলে তাৎক্ষণিক প্রার্থিতা বাতিলসহ প্রয়োজনে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
এসএ/দীপ্ত নিউজ