সম্প্রতি অ্যাক্টরস ইকুইটির একটি অনুষ্ঠানে মামুনুর রশীদ বলেছিলেন, ‘আমরা একটা রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়ে গেছি। সেখান থেকে হিরো আলমের মতো একটা লোকের উত্থান হয়েছে। যে উত্থান কুরুচি, কুশিক্ষা ও অপসংস্কৃতির উত্থান। এই উত্থান কীভাবে রোধ করা যাবে, এটা যেমন রাজনৈতিক সমস্যা, তেমনি আমাদের সাংস্কৃতিক সমস্যাও।’
সম্প্রতি অভিনয় শিল্পী সংঘের একটি অনুষ্ঠানে হিরো আলমকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি।
রবিবার (২৬ মার্চ) একটি জাতীয় দৈনিককে তিনি জানান, হিরো আলম সম্পর্কে আগে তিনি খুব একটা জানতেন না। তবে নাট্যাঙ্গনের কয়েকজন তাঁকে হিরো আলমের কর্মকাণ্ড সম্পর্ক জানিয়েছেন। এরপর থেকেই হিরো আলমকে নিয়ে বিরক্ত তিনি।
মামুনুর রশীদ বললেন, ‘কয়েকজন বলার পর খোঁজ নিয়ে দেখলাম, হিরো আলম যখন সংসদ নির্বাচন করছে, তাকে কেউ একজন একটা গাড়ি দিচ্ছে। সেই গাড়ির আবার নয়–দশ বছরের ফিটনেস নেই। এই হিরো আলম নিয়ে আমি অনেক দিনই বিরক্ত ছিলাম। বিরক্ত ছিলাম এই কারণেও, আমাদের দেশের মানুষের তো রুচির দুর্ভিক্ষ হয়ে গেছে।’
এ ধরনের সংকট থেকে উত্তরণের উপায় কী জানতে চাইলে তিনি ওই বলেন, ‘উত্তরণের উপায় খুব কঠিন। কারণ, আমাদের রাজনীতিও তো রুচিহীন হয়ে গেছে। রাজনীতি যদি সুস্থ হতো, দুর্নীতিপরায়ণ সমাজ যদি না হতো, তাহলে কিছু একটা হতো,’ বললেন মামুনুর রশীদ।
তবে তার এরুপ কথা নিয়ে হচ্ছে বিতর্ক। এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই করছেন আলোচনা-সমালোচনা। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের মালিককে ইঙ্গিত করে একজন কমেন্টে বলেন, হিরো আলমের রুচি নিয়ে প্রশ্ন করাই যায়, সাহস থাকলে তাঁকে নিয়ে বলেন।
আফ/দীপ্ত সংবাদ