মাগুরার শ্রীপুরে স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়েছেন স্বামী। মৃত গৃহবধূর নাম মনিকা আক্তার (২৫)।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছোট ছেলে টিপু সুলতানের সঙ্গে একই উপজেলার চর চৌগাছি গ্রামের মাজেদ শেখের মেয়ে মনিকা আক্তারের ২ বছর আগে বিয়ে হয়। টিপু তার পরিবারকে না জানিয়ে মনিকা আক্তারকে বিয়ে করেন। টিপুর পরিবার ১ বছর আগে নাজমীন নামে একটি মেয়ের সাথে পারিবারিক ভাবে ২য় বিয়ে দেন। টিপুর দুটি বিয়ের বিষয় জানাজানি হলে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। ঈদের দিন থেকে শুরু করে গত ৩ দিন ১ম স্ত্রী মনিকা আক্তারের বাবার বাড়িতে অবস্থান করে টিপু ।
নিহত মনিকার ভাই মামুন শেখ জানান, রবিবার ১লা বৈশাখ উপলক্ষে মনিকাকে কেনাকাটা করে দেওয়ার কথা বলে সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন তারা। বিকাল ৩ টার দিকে আমরা পরিবারের লোকজন জানতে পারি মনিকার লাশ হাসপাতালে পড়ে আছে। আমার বোনকে শপিং করে দেওয়ার কথা বলে বড়ি থেকে নিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। এ হত্যাকান্ডের সাথে বোনের স্বামী টিপুসহ তার পরিবারে লোকজন জড়িত রয়েছে। নির্মম এ হত্যাকান্ডের সকল আসামীদের আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচারের দাবী জানায়।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাসনীয়া জানান, নিজেকে স্বামী পরিচয় দিয়ে দুপুর ২ টা ৫০ মিনিটের দিকে একটি রোগী নিয়ে আসেন এক ব্যক্তি। রোগীটি মৃত অবস্থায় পেয়েছি। বিষয়টি থানায় জানানো হয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরায় মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের বাবা মাজেদ শেখ রবিবার রাতে নিয়তের স্বামীসহ ৪জন কে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
শ্রাবণ/ আল / দীপ্ত সংবাদ