আবারও আলোচনায়, হৃদরোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত করোনারি স্টেন্ট বা হার্টের রিং। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নতুন দাম নির্ধারণ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বেধে দেয়া দামে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান রিং সরবরাহ না করায়, বিপাকে রোগীরা।
উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও বাড়ছে হৃদরোগীর সংখ্যা। হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিনই হার্টে ব্লক নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন শতাধিক রোগী।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব কার্ডিওভাসকুলার ইন্টারভেনশনের তথ্যমতে, দেশে দৈনিক ৮২ থেকে ৮৫ জন রোগীর হার্টের রক্তনালীতে রিং বসানাে হয়।
বাংলাদেশ রিং সরবরাহ করে ২৭টি প্রতিষ্ঠান। তাদের দুটি গ্রুপ। একটি যুক্তরাষ্ট্রের, অন্যটিতে আছে ইউরোপের কয়েকটি দেশসহ চীন, জাপান, ভারত। অভিযোগ আছে, এতদিন দুটাে গ্রুপই ইচ্ছেমতাে দামে রিং বিক্রি করেছে। সম্প্রতি রিংয়ের দাম বেধে দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
বেধে দেয়া দামেই রিং সরাবরাহ করছে, যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি প্রতিষ্ঠান। তবে নতুন দাম না মেনে, হাসপাতালগুলোত রিং সরবরাহ বন্ধ রেখেছে বাকি ২৪টি প্রতিষ্ঠান। হাইকাের্টে রিটও করেছে তারা।
ফলে বাধ্য হয়েই অনেক রোগিকে বেশি দামে রিং কিনতে হচ্ছে। আবার কেউ কেউ অপেক্ষায় আছেন ধর্মঘট প্রত্যাহারের।
এসএ/দীপ্ত নিউজ