স্বৈরাচার আ.লীগ সরকারের অবৈধ মন্ত্রী–এমপিরা যারা জুলাই–আগেস্টে ছাত্র–জনতার গণআন্দোলনে সরাসরি হত্যার নির্দেশদাতা, যাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, সেই হত্যাকারীদের দ্রুত জামিন দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ২টায় পল্লবী–রূপনগরে আয়োজিত পল্লবী থানা ছাত্রদল ও রূপনগর থানা যুবদলের উদ্যোগে দুটি পৃথক স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষের ওপর আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার ও তাদের দোসররা জুলুম–অত্যাচার–নির্যাতন ও নিপীড়ন চালিয়েছে। বিরোধী মত দমনে মামলা, হামলা ও নির্যাতন করেছে। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে বার বার ক্ষমতার চেয়ারে বসেছে। যাদের নির্দেশনায় জুলাই–আগস্টে ছাত্র, জনতার গণআন্দোলনে অসংখ্য ছাত্র–জনতা ও বিএনপি নেতাকর্মী ভাইদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, সেই শহীদদের রক্ত এখনও শুকায়নি। অথচ সেই হত্যাকারীদের দ্রুত জামিন দেওয়া হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক এই অধিনায়ক আরও বলেন, আওয়ামী সরকার গত ১৭ বছর ধরে স্বৈরাচারী কায়দায় রাষ্ট্রীয় যন্ত্রগুলো ব্যবহার করে ক্ষমতায় বসেছিল। সেই রাষ্ট্রীয় যন্ত্রগুলো আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। তারা (আওয়ামী সরকার) এই রাষ্ট্রীয় যন্ত্রগুলোর কোমর ভেঙে দিয়েছে। এই আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের দোসররা এখনও রাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় বসে আছে।
দেশের স্বার্থে রাষ্ট্রীয় যন্ত্রগুলোর সঠিক সংস্কারের প্রয়োজনে পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় সকল যন্ত্রগুলো ঢেলে সাজাতে হবে, নইলে গণঅভ্যুত্থানের সুফল পাওয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ব উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন, বিএনপি জনগণের দল, জনগণকে সঙ্গে নিয়েই বিএনপি রাজনীতি করে এবং জাতির সকল ক্রান্তিলগ্নে বিএনপি সবসময় জনগণের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। সামনে সুন্দর পরিবেশে জনগণের ভোটের মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে এবং সেই সরকার জনগণের কথা মতো চলবে।
অস্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে জাতীয়তাবাদী দলের সকল নেতাকর্মীকে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে হিন্দু ভাইদের ওপর জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে। তারা নিজেরাই হিন্দুদের বাড়িতে আগুন দিয়ে বিএনপির ওপর দায় চাপিয়েছে। কিন্তু বিএনপি এই ধরনের অপকর্মে কখনো জড়িত ছিল না। এ বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
রক্তদান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সাবেক সদস্য মাহাবুব আলম মন্টু, রূপনগর থানা বিএনপি আহ্বায়ক জহিরুল হক, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মহসিন সিদ্দিকী রনি, মহিলা দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক লাইলী বেগম, পল্লবী থানা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কামাল হুসাইন খান, সিনিয়র সহ–সভাপতি আশরাফ আলী গাজী, পল্লবী থানা বিএনপি সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি হাজী আবু তৈয়ব, রূপনগর থানা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইন্জি. মজিবুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ হাবিবুর রহমান হাবিব, অলিউল হাসানাত তুহীন, খায়রুল আলম নয়ন, যুবদল পল্লবী থানা সভাপতি হাজী নূর সালাম, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।
এসএ