বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছন, দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ ধরে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়েছে ছাত্রসমাজ। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বৈরাচারমুক্ত হলো বাংলাদেশ। আজ ছাত্ররা ইতিহাসের মহানায়ক।
যে স্বৈরশাসক মানুষের ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার ও স্বাধীনভাবে চলার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। বাংলাদেশের জনগণকে শাসনের নামে শোষণ করে আসছিল। কিন্তু আমাদের ছাত্র–জনতার আন্দোলনের রোষানলে পড়ে স্বৈরশাসক হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে ফেনীতে নিহত ৮ ছাত্রের পরিবারকে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিএনপির পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটল সে অভ্যুত্থান সফল হয়েছে অনেকগুলো তাজা প্রাণের বিনিময়ে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে অনেকেই নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যাও অগণিত।
তিনি সকালে প্রথমে দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের নিহত সারোয়ার জাহান মাসুদের কবর জিয়ারত করেন ও তার পিতার হাতে অনুদানের অর্থ প্রদান করেন। পরে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া এলাকার নিহত ওয়াকিল আহমেদ শিহাব, সাইদুল ইসলাম, সোনাগাজী উপজেলার জাকির হোসেন শাকিব, মাহমুদুল হাসান, ফুলগাজী উপজেলার ইশতিয়াক আহমেদ ও পরশুরাম উপজেলার ইকরাম হোসেনের কবর জিয়ারত ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ভিপি, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, সহ–প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাহেনা আক্তার রানু, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহেনা আক্তার শানু, আবু তালেব, কৃষক দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শাহজান মিয়া সম্রাট, ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী হাবিবুল্লাহ মানিক, আনোয়ার পাটোয়ারী, দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকবর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মামুন/ আল/ দীপ্ত সংবাদ