দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম চমকে দিয়েছে সাধারণ ক্রেতা–বিক্রেতাকে। স্বাধীনতার সময় এক ভরি সোনার দাম ছিল মাত্র ১৭০ টাকা। ৫৪ বছর পর এখন ভালো মানের সোনার এক ভরির দাম দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। ভ্যাট ও মজুরি যোগ করলে অলংকার কেনার খরচ চলে যাচ্ছে ২ লাখ টাকার কাছাকাছি।
বিশ্ববাজারে সোনার দাম এখন আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৬৫০ ডলার ছাড়িয়েছে। ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগকারীদের অনিশ্চয়তা এবং মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার কমানোর সম্ভাবনা—এসব কারণে সোনার প্রতি ঝুঁকছেন ক্রেতারা।
অস্ট্রেলিয়ার ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান এএনজেড গ্রুপের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ বছরের শেষ দিকে দাম পৌঁছাতে পারে আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৮০০ ডলারে, আর আগামী জুন নাগাদ তা ৪ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
দেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। কয়েক বছর আগে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনা কিনতে খরচ হতো প্রায় ৪৩ হাজার টাকা। এখন সেই অলংকার বিক্রি করলে জুয়েলার্সরা দিচ্ছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার বেশি। ফলে ভরিতে মুনাফা দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ টাকার ওপরে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজার এখন অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে গেছে। খুব প্রয়োজন না হলে নতুন অলংকার কেনা উচিত নয়। পুরোনো অলংকার বিক্রি করলে ভালো মুনাফা মিলবে। কেউ কিনতে চাইলে অবশ্যই ব্র্যান্ডের দোকান থেকে কেনার পরামর্শ দিয়েছেন তারা, যাতে মান নিয়ে ঝামেলায় পড়তে না হয়।
বাংলাদেশে বর্তমানে ২২, ২১ ও ১৮ ক্যারেটের অলংকারই বেশি তৈরি হয়। জুয়েলারি সমিতির নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি অলংকারে বিশুদ্ধ সোনার পরিমাণ হলমার্কিং করে উল্লেখ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।