আজকাল কোনো কাজেই কম্পিউটার ছাড়া ঠিক হয় না। কেউ কেউ দিনের পুরোটা সময়ই হয়তো পার করে দিচ্ছেন কপম্পিউটারের সামনে।
আর এতে কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোমের মতো সমস্যায় ভুগছেন। যেমন মাথা ব্যথা, চোখ শুকিয়ে যাওয়া, ফোকাস নষ্ট হওয়াসহ নানা রকমের সমস্যায় পড়তে হয়।
নিজেকে সুস্থ রাখতে চিকিৎসকরা বেশ কিছু পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
কম্পিউটার স্ক্রিনে ধুলো, ময়লা কিংবা আঙুলের ছাপ পড়তে দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এই ময়লাগুলো স্ক্রিনে কোনো কিছু পড়তে চোখের সমস্যা তৈরি করে। তৈরি করে বিভ্রম। দীর্ঘদিন অপরিষ্কার স্ক্রিন ব্যবহারের ফলে ‘ক্রনিক হেড্যাক’ দেখা দিতে পারে। তাই রোজ একবার করে কম্পিউটারের স্ক্রিন পরিষ্কার করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
#রুমের অতিরিক্ত উজ্জ্বল আলো কম্পিউটারে পড়লে তা চোখ ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কম্পিউটারকে এমনভাবে, এমন জায়গায় রাখতে হবে যাতে ঘরের জানালা বরাবর কম্পিউটারের অবস্থান না হয়। মাথার ওপর সরাসরি ফ্লুরোসেন্ট বাতি এড়িয়ে চলা উত্তম।
#কম্পিউটার স্ক্রিনে পড়ার জন্য খুব ছোট ফন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। চোখের জন্য আরামদায়ক বড় ফন্ট সিলেক্ট করে নেয়া ভাল। এতে চোখে চাপ কম পড়বে। এর বাইরে স্ক্রিনের ব্রাইটনেস, কনট্রাস্ট সুবিধামতো কমিয়ে–বাড়িয়ে নেয়া যেতে পারে।
আমরা অনেকেই কম্পিউটারে কাজ করার সময় এতোটাই মগ্ন থাকি যে, চোখের পলক ফেলতে ভুলে যাই। এতেই হয় হিতে বিপরীত। এজন্য একটু পর পর চোখের পলক ফেলা জরুরি। মাঝেমাঝে চোখ–মুখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিলে স্বস্তি মেলে।
#চোখের পলক ফেললে চোখে ময়েশ্চার তৈরি হয়। যা চোখের শুষ্কতা দূর করে। চোখে যদি বেশি শুষ্কতা দেখা যায় তবে ডেস্কটপের পরিবর্তে ল্যাপটপ ব্যবহার করা যেতে পারে।
#চোখ সুরক্ষার জন্য চমৎকার একটি কৌশল রয়েছে। যা আমরা ফলো করতে পারি।
২০–২০–২০। এতে প্রতি ২০ মিনিট পর পর, ২০ ফুট দূরত্বের কোনো জিনিসের দিকে ২০ সেকেন্ড করে তাকিয়ে থাকতে হয়। চোখ এতে বিশ্রাম পায়। গবেষকেরা বলেন, চোখের বিশ্রামের জন্য ২০–২০–২০ নিয়মটি মেনে চললে চোখে যথেষ্ট আর্দ্রতা থাকে এবং চোখের ওপর চাপ কমে। চোখকে ক্লান্তিমুক্ত রাখতে এটি মানা যেতে পারে।
যারা কম্পিউটারে কাজ করেন তাদের প্রতিবছর একবার করে চোখ পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। #আর চোখ ভালো রাখতে হলে পুষ্টিকর খাবার খেতেই হবে। টাটকা সবুজ শাকসবজি, হলুদ ফলমূল যেমন গাজর, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদি খেতে হবে।
এছাড়া, দীর্ঘক্ষণ একটানা কম্পিউটার ব্যবহার করা উচিৎ নয়। কিছুক্ষণ পর পর উঠে হাঁটা যেতে পারে। চোখ বন্ধ করে কিছু সময় বসে থাকা যেতে পারে। এর বাইরেও চিকিৎসক দেখিয়ে চোখে চশমা ব্যবহার করা যেতে পারে। অনেকেই এন্টি–রিফ্লেক্টিভ গ্লাস ব্যবহার করে থাকেন এক্ষেত্রে।
সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ