চুয়াডাঙ্গায় ১০ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর ইংরেজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক শাকিল আরাফাত (৩৫) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে তাকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত শাকিল আরাফাত ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার ফরাশপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ইংরেজি সহকারী শিক্ষক শাকিল আরাফাতের কাছে তার ভাড়া বাসায় প্রাইভেট পড়তো একই স্কুলের ১০ম শ্রেণীর এক ছাত্রী। সকালে প্রাইভেট পড়ে আসার সময় অভিযুক্ত শিক্ষক ভুক্তভোগী ছাত্রীকে ৮ম শ্রেনীর ছাত্রীদের কিছু খাতা দেখে দেওয়ার জন্য সকাল সাড়ে ছয়টার সময় আসতে বলেন। শিক্ষকের কথা মত সকালে তার বাসায় যায়। বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে ছাত্রীকে তার বেড রুমে নিয়ে যেয়ে শ্লীলতহানির চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী প্রতিরোধে সৃষ্টি করে শিক্ষক কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে ঘর থেকে বেরিয়ে পালিয়ে আসে। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক শাকিল আরাফাতকে গ্রেপ্তার করেন।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে চুয়াডাঙ্গা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় বিদ্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে জেলা প্রশাসক কার্যালয় গিয়ে শেষ হয়। সেখানে শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করে স্বারকলিপি প্রদান করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষক শাকিল আরাফাত স্কুলের শিক্ষার্থীদের দিকে কু–নজরে তাকাতো। বিভিন্ন অশালিন কথাবার্তা এবং তার কাছে না পড়লে পরীক্ষায় ফেল করোনার ভয় দেখাতো। শিক্ষক শাকিলের শাস্তির দাবি জানা।
জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা জানান, এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রেভিনিউ) শারমিন আক্তারকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার থেকে ৪ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
জান্নাতুল আওলিয়া/পূর্ণিমা/দীপ্ত নিউজ