অবশেষে দুই লক্ষ টাকা কাবিনে অনশনের অবসান ঘটিয়ে এক প্রেমিকাকে নিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসলো প্রেমিক শাহিন। এরমধ্য দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে একসঙ্গে দুই তরুণী অনশনের অবসান হলো।
রবিবার (৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার সময় হরিণাকুন্ডু উপজেলর কাপাশাটিয়া ইউনিয়নের বিবাহ রেজিস্ট্রার আজিজুর রহমান মিনুর বাড়িতে রুনা ও শাহিনের বিবাহ হয়।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের গাগান্না গ্রামের ইকরামুল হকের ছেলে শাহিন ও হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশাটিয়া ইউনিয়নের ঘোড়াগাছা গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে রুনা।
প্রতিবেশী ইফাজ উদ্দীন জানান, শনিবার বিকেলে পাশের গ্রামে থেকে রুনা খাতুন বিয়ের দাবিতে শাহিনের বাড়িতে আসে। রুনার আসার কথা শুনে সাদিয়া নামে আরেক মেয়ে সেও বিয়ের দাবীতে শাহিনের বাড়িতে আসে। এক শাহিনের বাড়িতে দুই মেয়ে বিয়ের দাবিতে আসায় আমরা খুব ঝামেলায় পড়ে যাই। কাকে রেখে কার সাথে বিবাহ দিই এই নিয়ে দ্বীধায় পড়তে হয় সবার। পরে সাদিয়ার পরিবার, শাহিন সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া পর তারা সেচ্ছায় চলে যায়। পরে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ মিলে রুনার পরিবারের সমর্থনে শাহিন–রুনার বিবাহের সিদ্ধান্ত হয়। রাতে পাশের উপজেলার কাজীর বাড়িতে তাদের বিবাহ হয়।
শাহিনের চাচা শামছুল ইসলাম জানান, শনিবার বিকালে এই মেয়েটি আসছে বিবাহের দাবিতে। পরে আরেক মেয়ে আসলে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। এখন সব সমস্যার সমাধান করে প্রথমে যে মেয়েটি আসছিল রুনার সাথে শাহিনের বিবাহ দেওয়া হয়েছে।
শাহিন জানান, সে প্রথমে রুনাকেই বিবাহ করতে চলেছিল। পরে সাদিয়া চলে আসায় তার সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হয়। পরে যখন সাদিয়া স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে চলে যায়। এরপর রুনাকে বিবাহ করতে আর কোন বাঁধা থাকে না। তারপরও সামাজিক অনেক ঝামেলা পেরিয়ে রাত ১১টার রুনাকে বিবাহ করি।
রুনা খাতুন বলেন, আমি প্রথম থেকেই শাহিনকে ভালোবাসি। তাকেই বিবাহ করতে চলেছিলাম। পরে ওই মেয়ে এসে ঝামেলা করলে সমস্যার দেখা দেয়। ওই মেয়ে চলে যাওয়ায় তাদের দুজনের বিবাহের আর কোনো বাঁধা ছিলোনা। আমি শাহিনকে বিবাহ করতে পেরে আমার ভালোবাসা ১০০ শতাংশ খাটি বলে মনে করছি।
বিবাহ রেজিস্ট্রার আজিজুর রহমান মিনু জানান, রাত সাড়ে ১১টার সময় রুনা ও শাহিনকে বিবাহ দেওয়া হয়েছে। তারা দুজনই প্রাপ্ত বয়স্ক। যার কারণে এই বিষয়ে আইনি কোন ঝামেলা না থাকাই ২লাখ টাকা কাবিনে বিবাহ দেওয়া হয়।
শাহরিয়ার/ আল/ দীপ্ত