দেশের ৪০ টি প্রতিষ্ঠানকে আগামী দুই বছরের জন্য সুপারব্র্যান্ডস বাংলাদেশ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ঢাকার শেরাটন হোটেলে অনুষ্ঠিত এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২০২৩-২০২৪ সালের জন্য বাংলাদেশের সুপারব্র্যান্ড সমূহের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। অনুষ্ঠানটিতে একইসঙ্গে আগামী দুই বছরের জন্য সুপারব্র্যান্ডস প্রকাশনার প্রচ্ছদ উন্মোচন করা হয়েছে।
সুপারব্র্যান্ডস বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ড সমূহের জন্য একটি আন্তর্জাতিক আর্বিটার যা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ৯০ টি দেশে বিস্তৃত রয়েছে। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি বৈশ্বিক ব্র্যান্ডসমুহের জন্য সর্বোচ্চ সাফল্যের প্রতীক। ব্যবসায়িক ও সামাজিক ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্র থেকে স্বনামধন্য নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেলের নিবিড় তত্ত্বাবধানে এবারের সুপারব্র্যান্ডগুলো বাছাই করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ এই প্যানেলকে ‘ব্র্যান্ড কাউন্সিল’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে সম্মাননা প্রদানের পাশাপাশি ২০২৩-২৪ সালের সুপারব্র্যান্ডস প্রকাশনাটির প্রচ্ছদ উন্মোচন করা হয়। দেশ বরেণ্য ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট, বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের ডিরেক্টর এবং ক্রিয়েটিভ এডিটর; বাংলাদেশ ক্রিয়েটিভ ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা; উইমেন ইন লিডারশিপের প্রেসিডেন্ট, নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা, সুপারব্র্যান্ডস বাংলাদেশ ২০২৩-২৪ -এর প্রচ্ছদটি ডিজাইন করেছেন। এই প্রকাশনাটি আগামী দুই বছরের জন্য নির্বাচিত প্রতি ব্র্যান্ডের একটি সংকলন।
ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউশনস কম্পানি বাংলাদেশ (প্রাইভেট) লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং এশিয়া মার্কেটিং ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি, আশরাফ বিন তাজ, সম্মাননা প্রদান পর্বের শুরুতে সুপারব্র্যান্ডসের বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “বৈশ্বিকভাবে প্রচলিত নিয়মকে অবলম্বন করেই বাংলাদেশের সুপারব্র্যান্ডগুলোকে বাছাই করা হয়েছে। একাধিক মানদন্ডে যাচাই করেই প্রক্রিয়াটি ভিন্ন ভিন্ন বিভাগে সেরা ব্র্যান্ড গুলোকে বাছাই করে নিয়ে এসেছে।“
বৈশ্বিক নিয়ম অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক সুপারব্র্যান্ডস টিমের অনুমোদনে ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ ব্র্যান্ড কাউন্সিল গঠন করা হয়। এই কাউন্সিলটিতে ছিলেন দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োজিত স্বনামধন্য ব্যক্তিরা। কাউন্সিলটি ২০ নম্বরের মানদন্ডে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে যাচাই করে। মানদন্ড হিসেবে ৫ টি বিষয়কে গণ্য করা হয়ঃ ১. ব্র্যান্ড হেরিটেজ, ২. ব্র্যান্ড রেলিভেন্স ইন ক্যাটেগরি, ৩. পারসিভড কোয়ালিটি, ৪. পারসিভড পারফরমেন্স, ৫. টপ অব মাইন্ড এওয়ারনেস। যাচাইয়ের পর সর্বোচ্চ নম্বরধারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুপারব্র্যান্ডস মর্যাদা গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ পাঠানো হয়। আমন্ত্রণ গ্রহণকারী এবং সবগুলো ধাপে সঠিকভাবে উত্তীর্ণ ব্র্যান্ড গুলোকেই পরবর্তীতে এই আয়োজনের মাধ্যমে সুপারব্র্যান্ডস মর্যাদা প্রদান করা হয়।
সুপারব্র্যান্ডস বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শরীফুল ইসলাম বলেন, “একটি ব্র্যান্ড তার পণ্য এবং সেবা উভয় ক্ষেত্রেই বছর ব্যাপী মান বজায় রেখেই একটি মানসম্পন্ন এবং বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড হয়ে উঠে। এই বিশ্বস্ততা বা আস্থার জায়গাটি ধারাবাহিকভাবেই একটি ব্র্যান্ডকে সুপারব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলে।”