সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে এক শিক্ষক দম্পতির বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ সময় মারধর করা হয়েছে মাহবুব আলম খান নামে এক কলেজ শিক্ষককে।
সোমবার (১ মে) সকালে রায়গঞ্জের পাঙ্গাসী ইউনিয়নের গ্রামপাঙ্গাসী গ্রামের কলেজপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন ওই কলেজ শিক্ষক মাহবুব আলম খান।
কলেজ শিক্ষক মাহবুব আলম খান অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ক্রয়কৃত একটি জায়গা নিজের বলে দাবি করে আসছে একই গ্রামের আব্দুস সোবাহান চাঁন শেখের ছেলে সাইদুল ইসলাম। এরই ধারাবাহিকতায় সকালে তারা প্রথমে আমার জমিতে গিয়ে দখল নিয়ে কলাগাছ লাগানোর চেষ্টা করে। পরবর্তীতে আমি বাধা দিলে একই এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে হেলাল উজ জামান শেখ এর নেতৃত্বে মৃত লোকমান হোসেন মন্টুর ছেলে সুমন, মুকুল হোসেনের ছেলে অমিত হোসেন ও চান শেখের ছেলে সাইদুল ইসলাম আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমাকে ও আমার চাচা শ্বশুরকে আঘাত করেছে।‘
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের সঙ্গে এ ব্যাপার নিয়ে বসার জন্য একাধিকবার বলা হয়েছে। তারা না বসে শুধু ঝামেলা করতে আসে। গতকালকেও আমাদের গ্রাম প্রধান তাদেরকে বসার প্রস্তাব দিয়েছিল। তারা কোনও সমাধানে আসতে চায়না। এ ঘটনায় আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি।‘
এ ব্যাপারে ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গ্রাম প্রধান আবুল হাশেম বলেন, আমরা এটা নিয়ে স্থানীয়ভাবে বসে সমাধানের চেষ্টা করেছিলাম। আমি দুদিন আগেও সাইদুল ইসলামদের বসে সমাধানের জন্য বলি। কিন্তু তারা কথা শোনেনি।
তবে এসকল অভিযোগ অস্বীকার করে হেলাল উজ জামান শেখ বলেন, ‘জমিটি নিয়ে আগে থেকেই ঝামেলা। পরবর্তীতে তিনি কিনে নিয়ে নতুন করে আরও ঝামেলা সৃষ্টি করেছেন। তবে আমি এসবের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই।‘
সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘তাকে কোনও মারধর বা বাড়িতে হামলা করা হয়নি। এই জমিটির ওয়ারিশ আমরা। আদালত থেকেও রায় পেয়েছি। তিনিই জোর করে দখল করে রেখেছেন।‘
এ ব্যাপারে পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম নান্নু বলেন, ‘জমি নিয়ে ঝামেলার বিষয়টি আমি জানি। তিনি এ বিষয়ে গ্রাম আদালতে একটা অভিযোগও দিয়েছিলেন। আমি জমিটি দেখেছি।‘
এ ব্যাপারে রায়গঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক ও পাঙ্গাসী পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে গতকাল রাতে মাহবুব আলম থানায় একটি।সাধারণ ডায়েরি করেছেন। পরবর্তীতে আজ সকালে জমি দখলকে কেন্দ্র করে তাদের মাঝে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এতে মাহবুব আলমের হাতে চোট লাগে।
তিনি আরও বলেন, দুপক্ষকেই শান্তি বিরাজ রাখতে বলা হয়েছে। চেয়ারম্যানসহ স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করছেন। যদি মীমাংসা হয়ে যায় তো ভাল, না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আফ/দীপ্ত সংবাদ