সিরাজগঞ্জের তাড়াশে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছাবেন আলী (৩২) নামে এ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে তাকে সিরাজগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুরে উপজেলার পৌর এলাকার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর বুধবার (১০ মে) রাতে হত্যার ঘটনায় একই গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে ছামেন আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঐ কিশোরী তার দাদীর সাথে নিজ বাড়িতেই থাকতেন। তার বাবা কাজের জন্য বাড়ির বাহিরে ছিলেন ও তার দাদী ছাগল চড়াতে মাঠের মধ্যে ছিলেন। এ সময় ঐ কিশোরী বাড়িতে একা ছিলেন। এই সুযোগে ছাবেন আলী ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় ঐ কিশোরী কাউকে বলে দিবে জানালে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এদিকে দুপুরের দিকে কিশোরীর দাদি বাড়ি ফিরে ঘরের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ভেতরে ঢুকে কিশোরীর মরদেহ দেখতে পান। পরে তাড়াশ থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়। বিকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
বুধবার সকালে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি পাঠানো হয়।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কিশোরীর গায়ে, মুখে ও শরিরের আঘাতের চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আরো বিস্তারিত জানা যাবে । এছাড়াও বিভিন্ন তথ্যের সুত্র ধরে একই গ্রামের ছাবেন আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ছাবেন আলী কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
আফ/দীপ্ত সংবাদ