সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে ল্যাম্পপোস্ট, তবে জ্বলছে না বাতি। রাজধানীর উত্তর সিটিতে এমন নষ্ট সড়কবাতির সংখ্যা সাড়ে চার হাজারের বেশি। ফলে অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকছে বিভিন্ন সড়ক। গচ্চা যেতে বসেছে ডিএনসিসির ৩৬০ কোটি টাকার প্রকল্প।
কম খরচে রাজধানীর রাতকে আলোকিত করতে সুদূর ইউরোপ থেকে আনা হয় সড়ক বাতি। ১০ বছরের ওয়ারেন্টি থাকা এসব বাতির ১০ শতাংশের পুরোপুরি আলো নিভেছে ৫ বছরেই।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার বিএসটিআই এর সামনের এই সড়কে প্রায় দেড়শ গজ পথে সড়ক বাতি আছে মোট ১০ টি যার ৯টি নষ্ট। এর মধ্যে ৫ টি তে এলইডির পরিবর্তে নতুন করে সিএফএল লাগালেও কমেছে সেগুলোর আলোও।
আর এটি মগবাজার ফ্লাইওভার। মিন্টু রোড থেকে ফ্লাইওভারটির মাঝ বরাবর আসতে ডানে বামে দেখা যাবে অন্তত ২০টি সড়ক বাতি অকেজো।
রাজারবাগ থেকে ফ্লাইওভার দিয়ে বাংলা মটরের দিকে যেতে অন্তত ১২টি অকেজো সড়ক বাতি চোখে পড়ে। আর কিছু কিছু বাতি অল্প সময় পরপর জ্বলছে নিভছে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশের এই সড়কটিতে চারটি বাতি আলো দিচ্ছে না। মেরামত না করে লাগানো হয়েছে নতুন বাতি ।
একই চিত্র মিন্টু রোডের মন্ত্রী পাড়ার গেটেও। সড়কবাতির এমন বেহাল দশা রাজধানীর অনেক সড়কে। কেবল ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ৩৬০ কোটি টাকা দিয়ে ৫২ হাজার এলইডি লাগালেও এরই মধ্যে নষ্ট হয়েছে সাড়ে চার হাজার। সেইসঙ্গে প্রতিদিনই বাড়ছে অকেজো বাতির সংখ্যা ।
এত অল্প সময়ে এতগুলো এলইডি বাতি অকেজো হওয়ার কারিগরি দিক খতিয়ে দেখা দরকার বলে জানালেন বিশেষজ্ঞরা।
গড়ে প্রায় ৪৩ হাজার টাকা দামের প্রতিটি নষ্ট বাতির জন্য উত্তর সিটি কর্পোরেশন ব্যয় করেছে সাড়ে ১৭ কোটি টাকা। আর সব বাতি কেনা হয়েছে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র ছাড়াই সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে। তবে এসব বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য দেয়নি সিটি কর্পোরেশন।
আল / দীপ্ত সংবাদ