২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১ হাজার ৩৩০ প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। অর্থাৎ চলতি বছর এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাফল্য দেখিয়েছে শতভাগ শিক্ষার্থী।
যদিও ২০২১ সালের তুলনায় চলতি বছর শতভাগ পাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ৬০৪টি। অর্থাৎ, গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৯৩৪টি। ২০২২ সালে সারা দেশের ৯ হাজার ১৩৯ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।
এর আগে পৌনে ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কম্পিউটারের বোতাম চেপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফল প্রকাশ করেন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে এই পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরে বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানেরা ফলাফলের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
প্রকাশিত ফলে দেখা যায়, এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ শিক্ষার্থী। আগের বছর ২০২১ সালে পেয়েছিলেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন। ফলে জিপিএ-৫প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ১২ হাজার ৮৮৭ জন।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারি ও বন্যার কারণে পিছিয়ে যাওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় গত ৬ নভেম্বর। এতে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে পরীক্ষার্থী ছিল মোট ১২ লাখ তিন হাজার ৪০৭ জন।